Couple Arrest: প্রেমিকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করিয়ে ভিডিয়ো! বান্ধবীর কাছ থেকে টাকা আদায় করে গ্রেফতার কলকাতার শিক্ষিকা

কলকাতার মেট্রোর রেলে কর্মরত এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে এক শিক্ষিকার। নরেন্দ্রপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই শিক্ষিকাকে। তিনি একটি বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে পড়ান। এদিকে দুজনে মিলে তাদের এক বান্ধবীর ঘনিষ্ঠতার ভিডিয়ো দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করতেন বলে অভিযোগ। এরপর তারা দফায় দফায় ওই বান্ধবীর কাছ থেকে মোটা টাকা আদায় করেছেন বলে অভিযোগ। তবে অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশ ওই শিক্ষিকা ও তার প্রেমিককে গ্রেফতার করেছেন। 

কিন্তু ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিতভাবে কিছু জানাতে চাননি পুলিশকর্তারা। তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, পঞ্চসায়র থানা এলাকার ওই স্কুলের শিক্ষিকার সঙ্গে একই স্কুলে পড়াতেন ওই নির্যাতিতা। তাঁর বাড়ি সার্ভে পার্ক এলাকায়। তিনি একলাই থাকতেন বাড়িতে। এদিকে ওই মহিলার কথাতেই মেট্রোর ওই কর্মীর সঙ্গে তারও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর তারা নানা জায়গায় তিনজনে ঘুরতে যেতেন। একসঙ্গে থাকতেনও মাঝেমধ্য়ে। 

এক রাতে ওই নির্যাতিতার বাড়িতে খাওয়ার আয়োজন করা হয়। সেখানে ওই শিক্ষিকা তার প্রেমিকাকে নিয়ে আসেন। এরপর রাতে তারা থেকে যান। রাতে ওই যুবকের সঙ্গে নির্যাতিতার শারীরিক সম্পর্ক হয় বলে দাবি করা হচ্ছে। সেই ঘনিষ্ঠতায় সহায়তা করেন ওই শিক্ষিকাই। অভিযোগ এমনটাই। এরপর ওই শিক্ষিকা তার ভিডিয়ো তুলে রাখেন। এরপরই শুরু হয় আসল খেলা। 

সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে নির্যাতিতার কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। প্রায় ২০ লাখ টাকা তার কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। তারপরেও শুরু হয় নানাভাবে ব্ল্যাকমেলিং। এরপরই নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই নির্যাতিতা। পুলিশ তদন্তে নেমে দুজনকে গ্রেফতার করে।

এদিন সংবাদমাধ্যমের তরফে বার বারই ওই মহিলাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল আপনাকে কেন পুলিশ গ্রেফতার করল? কিন্তু তিনি এনিয়ে কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি। 

তবে গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই মহিলা ও তার প্রেমিকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেন ওই মহিলা এই ধরনের ঘটনা ঘটালেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। 

এদিকে সূত্রের খবর, ওই নির্যাতিতাকে ভিডিয়ো দেখিয়ে দিনের পর দিন ধরে ব্ল্যাকমেলিং করা হয়েছে। তার কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে ওই বান্ধবীকে ফাঁসানোর জন্যই ওই যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার ব্যাপারে ওই মহিলা ইন্ধন দিয়েছিলেন।  কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।