‘দ্বিতীয়বারের জন্য হুগলি থেকে নিশ্চয়ই লড়ব’‌, নিজেই নিজের নাম ঘোষণা করলেন লকেট

হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী কে?‌ এই প্রশ্ন এখন রাজ্য–রাজনীতিতে উঠতে শুরু করেছে। কারণ হুগলি বিজেপি নেতৃত্বের অনেকেই চান না লকেট চট্টোপাধ্যায় আবার প্রার্থী হোন। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই পোস্টার ফেলেছেন বিজেপির কিছু নেতা–কর্মী বলে খবর। এই পরিস্থিতির মধ্যে স্বয়ং লকেট চট্টোপাধ্যায় আজ জানিয়ে দিলেন আর কেউ নয়, তিনিই ২০১৯ সালের মতো ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে হুগলি থেকে প্রার্থী হচ্ছেন। লোকসভা নির্বাচনে এবারও হুগলি জেলার সাংসদ হিসাবে তিনিই লড়াই করবেন সেটা স্পষ্ট করলেন পরাজিত বিধায়ক।

এদিকে বিজেপির অন্দরে এই নিয়ে এখন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। হুগলিতে একটি অংশ চাইছে লকেট চট্টোপাধ্যায় সাংসদ হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন। আর একটি অংশ চাইছে না সাংসদ পদে দাঁড়ান লকেট। কারণ গত পাঁচ বছরে এই জেলায় কোনও কাজ করেননি লকেট চট্টোপাধ্যায়। এমনকী সাংসদকে সবসময় কাছে পর্যন্ত পাননি হুগলির মানুষজন। তাই এখানে লকেট চট্টোপাধ্যায় দাঁড়ালে পরাজিত অবশ্যম্ভাবী বলে মনে করছেন বিজেপি নেতা–কর্মীদের বড় অংশ। যদিও লকেট বলেন, ‘‌তৃণমূল আমার নামে জুজু দেখছে। তারা বিজেপির নাম করে শ্রীরামপুরে, আরামবাগে পোস্টার দিচ্ছে। এই পোস্টার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র দক্ষিণ কলকাতায় পড়বে। ডায়মন্ডহারবারেও পড়বে। আমি একটা কথাই বলব, ইয়ে ডর মুঝে আচ্ছা লাগা।’‌

অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থীর নাম রাজ্য নেতৃত্ব ঘোষণা করেন না। প্রার্থীতালিকা তৈরি করে দলের সংসদীয় কমিটি। আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তা ঘোষণা করে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই সব রীতির বাইরে গিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায় স্বয়ং জানিয়ে দিলেন তিনিই দ্বিতীয়বার প্রার্থী হচ্ছেন হুগলি আসনে। লকেট বলেন, ‘দ্বিতীয়বারের জন্য হুগলি থেকে নিশ্চয়ই লড়ব। অন্য লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে কি হবে জানি না। হুগলিতে আমি গত লোকসভায় জিতেছিলাম। এবারও হুগলিতে জিতব।’‌ দলের নিয়মের বাইরে গিয়ে এভাবে নিজের নাম ঘোষণা করে দেওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে বঙ্গ–বিজেপি। কারণ এটা নিয়ে দলের অন্দরে অনেকেই প্রশ্ন তুলবেন।

আরও পড়ুন:‌সিভিক ভলান্টিয়ার–ভিলেজ পুলিশের বেতন বাড়ল, চাকরির সুযোগও ঘোষণা রাজ্য বাজেটে

এছাড়া আজই রাজ্য বিজেপির নির্বাচন পরিচালন কমিটির প্রথম বৈঠক হবে। আর সেই বৈঠক করতে কলকাতায় আসছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনসল। সেই বৈঠকে যোগ দিতে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার–সহ যাঁরা নির্বাচন কমিটিতে আছেন তাঁদের কলকাতায় আসতে বলা হয়েছে। লকেট চট্টোপাধ্যায়ও সেই কমিটির সদস্য। তিনি এমন কেন বললেন?‌ এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে তাঁকেই বলে সূত্রের খবর। গত বিধানসভা ভোট,পুরসভা ও পঞ্চায়েত ভোটে হুগলিতে ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি। লকেট চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ২০২১ সালের নির্বাচনের পর থেকে ২০২৪ সালের পরিস্থিতি অনেক পাল্টেছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আর তৃণমূলকে চাইছে না। লকেট চট্টোপাধ্যায় গত বিধানসভায় চুঁচুড়া থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে অসিত মজুমদারের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন।