Fatigue After Morning Walk: সকালে হাঁটতে বেরোলেই সারা দিন ঘুম পায় ! কেন, কী করবেন ?

<p><strong>কলকাতা: </strong><span style="font-weight: 400;">আধুনিক জীবনে ব্যস্ততা বেড়েছে। ফলে কোনও কিছু করার জন্য সময় কমেছে। অনেকেই সময়ের কারণে ব্যায়াম করতে পারেন না। এমনকি মর্নিং ওয়াক করতে গেলেও সময় বের করতে হয়। তা হয়ে ওঠে না। কারও কারও ক্ষেত্রে যদি হয়ও বা, আরেকটি সমস্যা উড়ে এসে জুড়ে বসে। মর্নিং ওয়াক করে ফেরার পর কাজের উদ্দেশ্যে বেরোতে হয়। কিন্তু কাজে বসলে কাজ বেশিক্ষণ করা সম্ভব নয়। কারণ প্রচন্ড ক্লান্ত লাগে। এরই সঙ্গে ঘুম পায় ভীষণ। ব্যায়াম করলেও একই সমস্যা হতে পারে। ক্লান্ত লাগে। ঘুম ঘুম ভাব আসে। কিন্তু কেন এমনটা হয় ?</span></p>
<p><strong>ব্যায়ামের পর কেন ঘুম ঘুম ভাব ?</strong></p>
<p><span style="font-weight: 400;">স্লিপ ফাউন্ডেশনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, এই সমস্যার বড় কারণ ব্যায়ামজনিত ক্লান্তি। আমাদের শরীরে দুই ধরনের ক্লান্তিভাব তৈরি হয়। এর মধ্যে একটি হল সেন্ট্রাল ফ্য়াটিগ বা ক্লান্তি। অন্যটি পেরিফেরাল ফ্যাটিগ বা ক্লান্তি। হাঁটাও একধরনের ব্যায়াম।&nbsp;</span></p>
<p><strong>পেশির ক্লান্তি বা পেরিফেরাল ফ্যাটিগ</strong></p>
<p><span style="font-weight: 400;">পেরিফেরাল বলতে আমাদের শরীরের বিভিন্ন পেশিকে বোঝানো হয়। এই পেশিগুলি সংকোচন প্রসারণের জন্য শক্তি লাগে। আর তার জোগান দেয় এটিপি বা অ্যাডিনোসিন ট্রাইফসফেট। এর ফলে ক্লান্তিভাব তৈরি হয়।&nbsp;</span></p>
<p><strong>স্নায়ুর ক্লান্তি বা সেন্ট্রাল ফ্যাটিগ</strong></p>
<p><span style="font-weight: 400;">পেরিফেরাল ফ্যাটিগ বা ক্লান্তি আমাদের পেশি জুড়ে হয়। এর বাইরেও আরেকরকম ক্লান্তি হয়। এটি আমাদের স্নায়ুতন্ত্র জুড়ে হয়। একে স্নায়ুর ক্লান্তি বা সেন্ট্রাল ফ্যাটিগ বলা যেতে পারে। কেন এই ক্লান্তি হয়। বিশেষজ্ঞদের কথায়, ব্যায়াম করলে আমাদের নিউরোট্রান্সমিটারে বেশ কিছু বদল আসে। এই নিউরোট্রান্সমিটার আমাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে। পাশাপাশি ব্রেনের কাজকর্মও নিয়ন্ত্রণ করে এগুলি। এগুলির মাত্রা পাল্টায়বলেই ক্লান্তিভাব পেয়ে বসে। আর তার থেকে প্রচন্ড ঘুম পায়।</span></p>
<p><strong>কী করলে সমস্যা থেকে রেহাই ?</strong></p>
<p><span style="font-weight: 400;">কিছুক্ষণের ঘুম – অনেকেই এর জন্য ব্যায়াম থেকে ফিরে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন। এই কিছুক্ষণ সময়টা ২০ মিনিট মতো। তবে এর কিছুভাল দিক রয়েছে। আবার কিছু খারাপ দিকও রয়েছে। ঘুমোলে ক্লান্তিভাব কেটে যায়। স্মৃতিশক্তি উন্নত হয়। এমনকি পেশির ক্লান্তিও কমে। তবে সারাদিন ঝিমুনিভাব থেকে যেতে পারে। অর্থাৎ ঘুমোলেই যে ঝিমুনি ভাব কেটে যায় তা নয়।</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">আরও পড়ুন -&nbsp;</span><a title="Headache in Women: মহিলা না পুরুষ, মাথার যন্ত্রণার শিকার বেশি হন কারা, কেন?" href="https://bengali.abplive.com/lifestyle/why-women-face-more-headache-know-from-expert-1045734" target="_self">Headache in Women: মহিলা না পুরুষ, মাথার যন্ত্রণার শিকার বেশি হন কারা, কেন?</a></p>