ত্রিবেণীতে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে দেড় দিনের কুম্ভমেলা, শর্তসাপেক্ষে অনুমতি মিলল

অবশেষে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি মিলল ত্রিবেণী কুম্ভমেলার। এখানে বলা হয়েছে, এই কুম্ভমেলা তিনদিনের পরিবর্তে চলবে দেড় দিন। আর মেলা হবে পরিবর্তিত একটি স্থানে। দিন কমে যাওয়ায় নির্ধারিত দিনের দেড় দিন পর শুরু হবে মেলা। এখানে ব্যবহার করা যাবে না লাউড স্পিকার। শব্দমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ৩৬ ডেসিবেলের কম থাকতে হবে। মূল মেলা শুরু হবে ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেলবেলা। ১৩ ফেব্রুয়ারি হবে শাহি স্নান। আগের বছরের তুলনায় এবার অনেকটাই ছোট আকারে হতে চলেছে এই কুম্ভমেলা। তাই বুধবার ত্রিবেণীর কুম্ভমেলার মাঠে আয়োজন হয় যজ্ঞের। সেখানে করা হয়েছে কুম্ভমেলার ধ্বজা উত্তোলন।

এদিকে গত দু’বছর মাঘ মাসের সংক্রান্তিতে কুম্ভমেলা হয়েছিল ত্রিবেণীতে। এলাহাবাদে যেমন গঙ্গা–যমুনা–সরস্বতীর সঙ্গম আছে, ঠিক তেমনই সঙ্গম রয়েছে ত্রিবেণীতেও। এখানকার মেলা কমিটির দাবি, এই সঙ্গমস্থলে ৭০০ বছর আগে কুম্ভ হতো। গঙ্গাসাগর থেকে ফেরার পথে এখানে বিশ্রাম নিতেন সাধু–সন্তরা। মাঘ মাসের সংক্রান্তিতে ত্রিবেনী হয়ে উঠত মিনি কুম্ভ। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য চলতি বছর প্রথমে মেলার অনুমতি দেয়নি জেলা প্রশাসন। পরে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি মিলেছে। ১১ তারিখ থেকে দেশের নানা প্রান্ত থেকে সাধু সন্তরা আসতে শুরু করলেও কুম্ভমেলার সমস্ত রীতি নীতি শুরু হবে মাধ্যমিক পরীক্ষার শেষের পরই।

অন্যদিকে নির্ধারিত দিনের বদলে তার একদিন পরেই শুরু হবে কুম্ভমেলা। এই মেলা কমিটির মুখ্য সংগঠক সাধন মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘তিন দিনের বদলে মেলা হবে দেড় দিনের। মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য শর্তসাপেক্ষে যা অনুমতি মিলেছে সেটা মেনেই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। গত দু’বছরের তুলনায় এবার একটু ছোট আকারে হচ্ছে মেলা’। ইতিমধ্যে হুগলির বাঁশবেড়িয়ায় পর্যটকরা ভিড় জমাতে শুরু করেছেন। একদিকে হংসেশ্বরী মন্দির অপরদিকে ত্রিবেণী। তবে এই দুই জায়গার মধ্যে ভালই দূরত্ব রয়েছে। অটো সার্ভিস আছে। এখানে টোটোও চলে।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌হাওয়াই চটি’‌ দিয়েই তৈরি হয়েছে সেলফি পয়েন্ট, ছবি তুলতে আসতে হবে ডুয়ার্স ফান সিটিতে

এছাড়া এই পরিস্থিতিতে এখন একটা উৎসবের মেজাজ তৈরি হয়েছে বাঁশবেড়িয়ায়। বাঁশবেড়িয়া পুরসভার উপ–পুরপ্রধান শিল্পী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‌মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য প্রথমে কুম্ভমেলা বন্ধের কথা বলেছিল প্রশাসন। ধর্মীয় ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখে মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে ছোট করে মেলা করার অনুমতি মিলেছে। বাঁশবেড়িয়া পুরসভা থেকে পরিচ্ছন্নতার বিষয়টা দেখতে বলা হয়েছে। পানীয় জল বাঁশবেড়িয়া পুরসভা দেবে। কথা মেনে সব করলে পুরসভা সাহায্য করবে।’‌ এখন দেখার কতটা সাফল্যের সঙ্গে মেটে কুম্ভমেলা।