Accidental Firing: রেল স্টেশনেই আরপিএফের রাইফেল থেকে অসাবধানে গুলি, মৃত্যু জওয়ানের

শনিবার ছত্তিশগড়ের রায়পুর স্টেশনে রেলওয়ে প্রোটেকশন স্পেশাল ফোর্সের (আরপিএসএফ) এক কনস্টেবলের রাইফেল থেকে দুর্ঘটনাবশত গুলি বেরিয়ে যায় বলে খবর। তার সার্ভিস রাইফেলের গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন। গুলিতে এক যাত্রী আহত হয়েছেন।

শনিবার সকালে এসকর্ট ডিউটি শেষে সারনাথ এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে এক সাব-ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে আরপিএসএফের একটি দল নামছিল।

কনস্টেবল দীনেশ চন্দ্র (৩০) ট্রেনের এস-২ কামরা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনাবশত তাঁর সার্ভিস রাইফেল থেকে গুলি বেরিয়ে যায় এবং একটি গুলি তাঁর বুকে লাগে। রায়পুর রেলওয়ে স্টেশনের ডেপুটি পুলিশ সুপার এসএন আখতার জানিয়েছেন, মহম্মদ দানিশ নামে এক যাত্রীর পেটেও চোট লেগেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, দু’জনকেই একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে, যেখানে কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে।

মৃত জওয়ান রাজস্থানের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ।

তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও এই ধরনের ঘটনা হয়েছে। 

 গত বছরের অক্টোবর মাসে শিয়ালদা থেকে নিউ দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেসে গুলি চালিয়েছিলেন এক সেনা জওয়ান। সূত্রের খবর, ওই জওয়ানের কাছে যে টিকিট ছিল সেটা হাওড়া-শিয়ালদা রাজধানী এক্সপ্রেসের। আর তিনি যে ট্রেনে চেপেছিলেন সেটা হল শিয়ালদা- নিউ দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস। ধানবাদ থেকে তিনি ট্রেনে উঠেছিলেন। কিন্তু তাঁর কাছে উপযুক্ত টিকিট না থাকায় স্বাভাবিকভাবেই এনিয়ে আপত্তি তোলেন টিকিট পরীক্ষক। এরপরই তাঁর সঙ্গে তর্ক বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। এরপরই তিনি গুলি চালাতে শুরু করেন বলে খবর। তবে দ্রুত আরপিএফ তাকে ধরে ফেলে। এরপর কোডার্মা স্টেশনে ট্রেনটি থামলে তাকে রাজ্য পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

সূত্রের খবর, ওই সেনা জওয়ানের নাম হরবিন্দর সিং। তার বয়স ৪১ বছর। ১২৩১৩ আপ শিয়ালদা- নিউ দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের বি-৮ কোচে উঠে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার কাছে যে টিকিট ছিল সেটা অন্য ট্রেনের। এরপরই এনিয়ে আপত্তি তোলেন টিকিট পরীক্ষক। কারণ ওই ট্রেনের টিকিট তার কাছে ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই তিনি ওই ট্রেনে উঠতে পারেন না। এরপরই তিনি তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন। তারপরই তিনি গুলি ছোঁড়েন বলে অভিযোগ। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। এটাই স্বস্তির। তবে গোটা ঘটনায় যাত্রীদের মধ্য়ে ব্যপক আতঙ্ক ছড়ায়। তবে আরপিএফ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়।

সিপিআরও পূর্বরেল, কৌশিক মিত্র সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছিলেন, তিনি অন্য ট্রেনের টিকিট নিয়ে শিয়ালদা -নিউ দিল্লিগামী রাজধানীতে উঠেছিলেন। ট্রেনটিকে কোডার্মাতে দাঁড় করিয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

এর আগে গত ৩১শে জুলাই ভয়াবহ ঘটনা হয়েছিল ট্রেনে। মুম্বইতে চলন্ত ট্রেনে গুলি চালিয়ে চারজনকে খুন করেছিল এক আরপিএফ কনস্টেবল। নাম চেতন সিং। তিনজন যাত্রী ও এক সিনিয়র আধিকারিককে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল ওই আরপিএফ কনস্টেবল। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।