আগেরবার পাশ করতে পারেননি, এবার কি পরীক্ষার চাপে আত্মঘাতী ক্লাস ১১-র ছাত্রী?

আত্মঘাতী হলেন একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। ১১ তলার ফ্ল্যাট থেকে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ছাত্রীটি। ঠাকুরপুকুর থানা এলাকার জোকা মোড়ের বহুতল আবাসনে এই ঘটনা ঘটেছে। আবাসনের নিচ থেকেই ওই ছাত্রীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃত ছাত্রীর নাম অনামিকা যাদব (১৮)। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। তাঁর ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে।

আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিকের টেস্টে পাশ করেননি, ফর্ম-ফিলআপের টাকায় বিরিয়ানি আত্মঘাতী ছাত্রী

জানা গিয়েছে, ওই পড়ুয়া শহরের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্রী ছিলেন। শনিবার সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর দেহ পর্যন্ত দেখেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁকে উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এরপর তদন্তে নেমে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন ছাত্রীটি। ১১ তলার আবাসন থেকে তিনি ঝাঁপ দিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, অনামিকার বাবা পবন কুমার যাদব এটি মার্কেটিং সংস্থার ম্যানেজার হিসেবে রয়েছেন। কয়েক বছর আগেই ওই পরিবার এই আবাসনে এসেছিল।

ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা দুই বোন। শুক্রবার রাতে চুপচাপ ছিলেন ছাত্রীটি এরপর রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে নিজের ঘরে চলে যান। সকালে তাঁর দেহ আবাসনের নিচে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ সেখানে গিয়ে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ পরিবারটিকে মৃত্যুর খবর জানায়। 

এদিকে, এই ঘটনায় ছাত্রীর ফ্ল্যাট থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। তবে সুইসাইড নোটটি হাতে লেখা ছিল না। সেটি টাইপ করা ছিল। কোন কম্পিউটারের টাইপ করা হয়েছিল? তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। সুইসাইড নোটে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট করেছে ছাত্রীটি। 

জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রী এর আগে একাদশ শ্রেণিতে ফেল করেছিলেন। আবার তিনি সেই ক্লাসেই পড়ছিলেন। সামনে রয়েছে পরীক্ষা। তাই পরীক্ষার আগে তার পরিবার তাকে পড়াশোনার জন্য চাপ দিচ্ছিল। সেই চাপ সহ্য না করতে পেরে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ হিসেবে বহুতল থেকে পড়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই ঘটনায় কোনও রহস্য রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ । ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু হয়েছে। যদিও এখনও এই ঘটনায় পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।

(সুইসাইড প্রিভেনশনস ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন: 8047096367)