Abhishek on leaps and bounds: ‘মিনারেল ওয়াটার তৈরি করে’, দুর্নীতিতে নাম জড়ানো লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস নিয়ে দাবি অভিষেকের

এখন মিনারেল ওয়াটার তৈরির কাজে যুক্ত আছে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম উঠে আসা সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস। এমনই দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, কয়লা পাচার মামলা, গরু পাচার মামলার ক্ষেত্রেও লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের নাম টেনে আনা হয়েছিল। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের মাধ্যমে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। পরবর্তী নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের নাম জড়ানো হয়েছে। কিন্তু কোনওক্ষেত্রেই তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পেশ করা যায়নি বলে দাবি করেছেন অভিষেক। যিনি নিজে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও পদে আছেন। আর তাঁর মা, বাবা এবং স্ত্রী আছেন ডিরেক্টর পদে।

আনন্দবাজার অনলাইনের অভিষেক দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গে বাম যুগের শেষে ২০০৯ সালে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস তৈরি করেন। প্রাথমিকভাবে সেটি ‘পার্টনারশিপ ফার্ম’ ছিল। তিন বছরে ‘প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি’-তে পরিণত করা হয়েছিল লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসকে। প্রাথমিকভাবে শেয়ার ট্রেডিং, উপদেষ্টা সংস্থা, ব্র্যান্ডিংয়ের মতো কাজ করা হত। তবে এখন সেইসব পাঠ চুকে গিয়েছে। বর্তমানে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস মিনারেল ওয়াটার তৈরি করে থাকে বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক। তাঁর দাবি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাখরাহাটে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের মিনারেল ওয়াটার তৈরির কারখানা আছে।

সেইসঙ্গে অভিষেক দাবি করেছেন, প্রাথমিকভাবে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টর ছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৪ সালে যখন তিনি ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিট পেয়েছিলেন, তখন স্বার্থের সংঘাতের বিষয়টি এড়াতে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। আপাতত সংস্থার সিইও হিসেবে আছেন। তাঁর বাবা, মা এবং স্ত্রী আছেন ডিরেক্টর পদে। যে সংস্থাকে নিজের সংস্থা হিসেবে চিহ্নিত করতে মাসকয়েক আগেও কুণ্ঠাবোধ করেননি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

আর যে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস নিয়ে অভিষেক মুখ খুলেছেন, সেই সংস্থার অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলে থাকা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র তথা ‘কালীঘাটের কাকু’-র সংস্থার সঙ্গে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের যোগ পাওয়া গিয়েছে। ২০২০-২১ সালের মধ্যে ওই সংস্থার মধ্যে প্রায় এক কোটি টাকার লেনদনের হদিশ মিলেছে বলেও দাবি করেছে ইডি।

আরও পড়ুন: লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট ইডির, দেখছেন বিচারপতি

উল্লেখ্য, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডের অফিসে ইডির তল্লাশি ঘিরে তুমুল তরজা শুরু হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন যে সংস্থার অফিসে তদন্তে গিয়ে বাইরের কয়েকটি ফাইল ডাউনলোড (১৬টি এক্সেল ফাইল ডাউনলোড করা হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের এক কর্মী) করে এসেছেন ইডি অফিসাররা। যদিও ইডির তরফে দাবি করা হয়েছিল যে এক আধিকারিক নিজের মেয়ের কলেজের হস্টেল নিয়ে খোঁজখবর করছিলেন। সেইসময় ভুলবশত সম্ভবত ওই ফাইলগুলি ডাউনলোড হয়ে গিয়েছিল।

আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee’s wealth: নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে অভিষেকদের সম্পত্তি বৃদ্ধির যোগ? আয়ের উৎস কী? জানতে চাইল হাইকোর্ট