‘‌হিন্দু পরিবারের বধূদের ধর্ষণ করা হচ্ছে’‌, সন্দেশখালি নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ স্মৃতি ইরানির

সন্দেশখালি নিয়ে যখন রাজ্য–রাজনীতি তপ্ত, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে তখন সাংবাদিক বৈঠক করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী আজ, সোমবার নয়াদিল্লি থেকে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন। সন্দেশখালিতে মহিলাদের ধর্ষণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্মৃতি। এমনকী শেখ শাহজাহানকে ধরা যাচ্ছে না বলে মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‌বাড়ি বাড়ি গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুন্ডারা হিন্দু পরিবারের অল্পবয়সী বধূদের ধর্ষণ করছে।’‌

এই অভিযোগ তুলতেই গোটা বিষয়টি আলাদা মাত্রা পেয়েছে। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে আরও নানা দাবি করেন স্মৃতি ইরানি। তাঁর কথায়, ‘‌মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দুদের গণহত্যার জন্য পরিচিত। তিনি এখন দলের ছেলেদের অনুমতি দিয়েছেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূলের গুন্ডারা দেখে এসে, কাদের বাড়ির মেয়ে সুন্দরী, কোন মেয়েদের বয়স কম। তাঁদের তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে এসে রাতের পর রাত ধর্ষণ করা হয়। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হোক, শেখ শাহজাহান কোথায়?‌’‌

এদিকে সংবাদমাধ্যমের কাছে গ্রামের মহিলারাই এমন অভিযোগ করেছেন বলে দাবি করেন স্মৃতি ইরানি। কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রীর অভিযোগ, ‘‌যতক্ষণ তাদের মন না ভরবে, ততক্ষণ ওই মহিলাদের রেহাই নেই। হিন্দু পরিবারের মেয়েদের ধর্ষণের জন্য চিহ্নিত করা হতো। এরা সবাই তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের লোক। তফসিলী জাতি, উপজাতি, মৎস্যজীবী, কৃ্যক পরিবারের মহিলাদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা নাগরিকরা সবকিছু দেখে চুপ করে থাকব?‌ কে এই ব্যক্তি যে কিনা বিপুল পরিমাণ মহিলাদের ধর্ষণ করেছে। হিন্দু বিবাহিত মহিলাদের চিহ্নিত করেই এই ধর্ষণের কাজ করা হয়েছে। স্থানীয় মহিলারা তা সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেছেন।’‌

আরও পড়ুন:‌ ‘‌আবাসনে বসবাসকারী প্রত্যেকেরই ছাদের অধিকার সমান’‌, বড় ঘোষণা করলেন মেয়র

অন্যদিকে ইডি অফিসারদের উপর আক্রমণের ঘটনার পর এখনও অধরা অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহান। আর জনরোষের বিস্ফোরণে কয়েকদিন ধরে উত্তাল এলাকা। আজ সন্দেশখালি পৌঁছন রাজ্য়পাল সিভি আনন্দ বোস। এই আবহে স্মৃতি ইরানির তীব্র আক্রমণে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীর মন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‌সন্দেশখালির হিন্দু পরিবারের বিবাহিতা মহিলারা এতদিন ধরে অত্যাচারের কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন। মহিলারা বলেছেন, এই ধরনের ঘটনা পুলিশের সামনেই ঘটেছে। রাজ্যপাল সংবিধান মেনে যা ব্যবস্থা নেওয়ার তিনি নেবেন। প্রশ্ন করুন কোথায় শেখ শাহজাহান।’‌ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য আজ বলেছেন, ‘‌যে কেউ সন্দেশখালি যেতে পারেন। তা নিয়ে আমাদের কোনও বিষয় নেই। আমরা ইতিমধ্যেই রাজ্য মহিলা কমিশন টিম পাঠিয়েছি। একাধিক গ্রেফতার হয়েছে।’‌