Sandeshkhali Updates: সন্দেশখালিতে ‘নারী নির্যাতনের’ তদন্তে পুলিশের ১০জনের টিম, কাল থেকেই অ্যাকশন! ঘুম ভাঙল অবশেষে…

সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে তাদের উপর অত্যাচার করা হয়েছিল বলে তাঁদের একাংশ সংবাদমাধ্য়মের ক্যামেরার সামনে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন। এমনকী পুলিশের বিরুদ্ধেও তারা উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছেন। এমনকী পুলিশের প্রতি  আস্থা নেই বলেও অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় মহিলারা। তবে এবার সন্দেশখালির সেই নির্যাতনের অভিযোগ প্রসঙ্গে মুখ খুলল পুলিশ।

পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এর পেছনে কোনও সাম্প্রদায়িক ব্যাপার নেই। এটা আপনাদের বলতে পারি। রাজ্য সরকার ও রাজ্য পুলিশের তরফে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ১০ সদস্যের একটি টিম তৈরি করা হচ্ছে। ডিআইজি পদমর্যাদার এক লেডি অফিসার এই টিমের নেতৃত্ব দেবেন। বিভিন্ন গ্রামে, বিভিন্ন পাড়ায় তারা যাবেন। এরপর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। রাজ্য় সরকার ও রাজ্য পুলিশ মহিলাদের বিষয়গুলি নিয়ে যে কথা বলা হচ্ছে তা নিয়ে সজাগ রয়েছে। কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যদি কোথাও কোনও অভিযোগ থাকে তবে স্পেশাল টিমের কাছে আসুন। আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নেব। কাল থেকেই এই স্পেশাল টিম যাবে এলাকায়।

সংবাদমাধ্য়মের তরফে প্রশ্ন করা হয়েছিল মহিলাদের নির্যাতনের কোনও অভিযোগ কি এসেছে? পুলিশ জানায়, একটা অভিযোগ এসেছে। এটা নিয়ে তদন্ত চলবে।

এদিকে সন্দেশখালির ঘটনা কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা বাংলাকে। তার ঝড় গিয়ে পড়েছে রাজধানীতেও। সন্দেশখালির মহিলারা যেভাবে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তা শিউরে ওঠার মতো। রাজ্য়ের মহিলা কমিশনও এলাকায় গিয়েছিল। 

এদিকে সন্দেশখালি প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি জানিয়েছেন, ‘‌মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দুদের গণহত্যার জন্য পরিচিত। তিনি এখন দলের ছেলেদের অনুমতি দিয়েছেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূলের গুন্ডারা দেখে এসে, কাদের বাড়ির মেয়ে সুন্দরী, কোন মেয়েদের বয়স কম। তাঁদের তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে এসে রাতের পর রাত ধর্ষণ করা হয়। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হোক, শেখ শাহজাহান কোথায়?‌’‌

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এদিনই জানিয়েছেন, ‘‌যতক্ষণ তাদের মন না ভরবে, ততক্ষণ ওই মহিলাদের রেহাই নেই। হিন্দু পরিবারের মেয়েদের ধর্ষণের জন্য চিহ্নিত করা হতো। এরা সবাই তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের লোক। তফসিলী জাতি, উপজাতি, মৎস্যজীবী, কৃ্যক পরিবারের মহিলাদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা নাগরিকরা সবকিছু দেখে চুপ করে থাকব?‌ কে এই ব্যক্তি যে কিনা বিপুল পরিমাণ মহিলাদের ধর্ষণ করেছে। হিন্দু বিবাহিত মহিলাদের চিহ্নিত করেই এই ধর্ষণের কাজ করা হয়েছে। স্থানীয় মহিলারা তা সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেছেন।’‌