জোড়া স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে ইস্তফা মিমির,দেবের মতো তাঁকে নিয়েও কি আগ্রহী দল?

এর আগে দুই রোগী কল্যাণ সমিতি থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী এবার সংসদের দুই স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি লিখে ইস্তফা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একের পর ইস্তফা জল্পনা তৈরি হয়েছে, রাজনীতির সঙ্গে দূরত্ব ক্রমশ চওড়া করছেন অভিনেত্রী।

কোন কোন স্ট্যান্ডিং কমিটিতে ছিলেন মিমি

সংসদে শিল্পবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ছিলেন মিমি। পাশাপাশি শক্তিমন্ত্রক ও নবীন পুনর্নবীরকণযোগ্য বিদ্যুৎমন্ত্রকের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে ছিলেন তিনি । এই দুটি কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন টলিউড অভিনেত্রী। প্রসঙ্গত, সোমবার তিনি নলমুড়ি ও জিরানগাছা ব্লক প্রথামিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন। তার ঠিক পরের দিনই তিনি স্ট্যান্ডিং কমিটি ছাড়লেন। 

স্ট্যান্ডিং কমিটির মেয়াদ

নিয়ম অনুযায়ী মিমি যে স্ট্যান্ডিং কমিটিতে ছিলেন সেগুলির মেয়াদ সাংসদ হিসাবে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও যতদিন না নতুন স্ট্যান্ডিং কমিটি তৈরি হচ্ছে ততদিন পুরনোদেরই কাজ চালিয়ে যেতে হয়। 

কিন্তু এক্ষেত্রে নতুন কমিটি গঠন হওয়া আগেই চিঠি দিয়ে সদস্যপদ ছাড়লেন মিমি। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে তিনি ইস্তফার কথা জানিয়েছেন। 

দেবকে নিয়ে তৈরি হয় জল্পনা

এর আগে অন্য এক তৃণমূল সাংসদ অভিনেতা দেবকে নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়। জেলার তিনটি কমিটিতে থেকে তিনিও ইস্তফা দেন। লোকসভায় তাঁর আবেগঘন ভাষণের পর জল্পনা আরও জোরদার হয় যে রাজনীতি ছাড়ছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নামেন খোদ তৃণমূল নেত্রী। 

মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর মতের বদল আনেন অভিনেতা। সাংবাদমাধ্যমের সামনে রাজনীতিতে চিরকাল থেকে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন দেব। কিন্তু জল্পনা মিটতে না মিটতে ফের মিমিকে নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি হল। 

মিমি সঙ্গেও কি কথা বলবেন মমতা

পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া এবং সংসদে আবেগঘন ভাষণের পর দেবের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আরামবাগেও গিয়েছিলেন দেব। সেখানেই তিনি স্পষ্ট করে দেন, ফের দেবকেই ঘাটালে প্রার্থী করা হবে। তাই দেবকে আবার প্রার্থী করার বিষয়ে যতটা আগ্রহী তৃণমূলনেত্রী মিমির ক্ষেত্রেও কি তেমনটা হবে। 

তৃণমূল সূত্র বলছে, নিজের সংসদীয় এলাকাতে খুব বেশি সময় দেননি মিমি।   অভিযোগ, পাঁচ বছরে হাতে গোনা দিন সংসদে গিয়েছেন তিনি। তা নিয়ে দলের সাংসদদের ক্ষোভও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেবের মতই দলনেত্রীর কাছে গুরুত্ব পাবেন  কী অভিনেত্রী? সেটা এখন বড় প্রশ্ন।