Adarsh Scam and Ashok Chavan: নির্মলার শ্বেতপত্রে আদর্শ দুর্নীতি, সেই মামলায় গদি খোয়ানো অশোক চহ্বানকে এবার দলে নেবে BJP?

সম্প্রতি সংসদে ইউপিএ জমানায় দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার খতিয়ান তুলে ধরে ‘শ্বেতপত্র’ প্রকাশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেই শ্বেতপত্রে ছিল মহারাষ্ট্রের ‘আদর্শ দুর্নীতি’র উল্লেখ। এই আবাসন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় নিজের গদি খোয়াতে হয়েছিল মহারাষ্ট্রের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বানকে। সেই অশোক আবার সদ্য কংগ্রেস ছেড়েছেন। এই আবহে জল্পনা ছড়িয়েছে, বেশ কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়ককে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন অশোক। (আরও পড়ুন: পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ক কি DRS নিয়ে ‘নটআউট’? যা জবাব দিল ‘তৃতীয় আম্পায়ার’)

আরও পড়ুন: ‘…ভালো করে একটা ড্রাফট করতে পারে না’, সরকারি কর্মীদের নিয়ে বিস্ফোরক মমতা

উল্লেখ্য, আদর্শ দুর্নীতি মামলায় একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং তৎকালীন মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার নির্দেশ দিয়েছিল বম্বে হাই কোর্ট। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ মুম্বইয়ের কোলাবার অভিজাত এলাকায় তৈরি হয়েছিল আদর্শ আবাসন। কার্গিল যুদ্ধে শহিদ সেনাদের স্ত্রী ও ভারতীয় সেনা বাহিনীর সদস্যদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল এই আবাসন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, অবৈধ ভাবে নিজেদের নামে সেই আবাসনে ফ্ল্য়াট নিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের তৎকালীন মন্ত্রী-আমলারা। ২০১০ সালে প্রথম আদর্শ কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগ ওঠে, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বান প্রভাব খাটিয়ে তাঁর তিন আত্মীয়কে জলের দরে ফ্ল্যাট পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। চাপের মুখে পড়ে ওই বছরই ইস্তফা দিতে বাধ্য হন অশোক। এই কেলেঙ্কারিতে মহারাষ্ট্রের আরও দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিলাসরাও দেশমুখ এবং সুশীল শিন্দের নামও জড়িয়েছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে ইডি এবং সিবিআই। এদিকে এই আবাসন জাতীয় সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে তৈরি হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। পরিবেশ সংক্রান্ত সবুজ সংকেত ছাড়াই উপকূলের কাছে এই বহুতল গড়ে তোলা হয়। এর জেরে মুম্বইয়ের নিরাপত্তাও প্রশ্নের মুখে পড়বে বলে পরবর্তীতে দাবি করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

আরও পড়ুন: রেশনের বস্তা ছাড়িয়ে দুর্নীতির জাল শেয়ার বাজারে, কলকাতার বহু জায়গায় হানা ইডির

এবার এই কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানো অশোক যোগ দিতে পারেন বিজেপিতে। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের অবস্থা এমনিতেই বেহাল। কয়েকদিন আগেই মিলিন্দ দেওরা এবং বাবা সিদ্দিকির মতো বড় নেতারা কংগ্রেস ছেড়ে এনডিএ-তে যোগ দিয়েছেন। মিলিন্দ যোগ দিয়েছেন একনাথ শিন্ডের শিবসেনায় আর বাবা সিদ্দিকি যোগ দেন অজিত পাওয়ারের এনসিপি-তে। এরই মাঝে এবার অশোক চহ্বান বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, অশোককে হয়ত রাজ্যসভায় পাঠাতে পারে বিজেপি। যা নিয়ে সরব হয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, মহারাষ্ট্র কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলের কাজের পদ্ধতিতে সন্তুষ্ট ছিলেন না অশোক চহ্বান। এই আবহে তিনি দল ছাড়েন।