স্কুলের শৌচাগারে ঢুকে প্রাথমিক শিক্ষিকাকে একের পর এক ধারাল অস্ত্রের কোপ

প্রাথমিক স্কুলে ঢুকে শিক্ষিকাকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল প্রথম পক্ষের স্বামীর পরিবারের বিরুদ্ধে। ঘটনা উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থানা এলাকার ভাতুন এফপি স্কুলের। গুরুতর আহত অবস্থায় রত্না খাতুন নামে ওই শিক্ষিকাকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: গায়ের রং আর শারীরিক গঠন দেখে আদিবাসী মহিলাদের চিনতে পারি, TMCর নারায়ণ গোস্বামী

আক্রান্ত শিক্ষিকার স্বামী আবদুল জলিল বলেন, আমার স্ত্রী দুপুরে স্কুলে গিয়েছিলেন। হঠাৎ খবর পাই তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। স্কুলে তাঁকে ২ আততায়ী এলোপাথাড়ি কুপিয়েছে বলে জানতে পারলাম। রত্না স্কুলের শৌচাগারে যাচ্ছিল। তখন শৌচাগারে ঢুকে পড়ে ২ জন মুখ বাঁধা দুষ্কৃতী। প্রথমে তাঁকে হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা। তার পর তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। স্কুলের কর্মীরাই তাঁকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। তার পর তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

তিনি জানিয়েছেন, রত্না খাতুনের এর আগে আবদুল কাদের নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। আবদুল কাদেরের মৃত্যুর পর জলিলকে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু আবদুল কাদেরের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘ দিন তাঁর জমি সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল। আদালতে এই সংক্রান্ত মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তার পরেও রত্নাকে লাগাতার হুমকি দিচ্ছিল আবদুল কাদেরের পরিবারের সদস্যরা। জলিল সাহেবের দাবি, প্রথম পক্ষের স্বামীর পরিবারের সদস্যরাই রত্নার ওপর হামলা চালিয়েছে।

আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় দুটি ক্যামেরার নজরদারি, বাড়তি জোর প্রশ্নপত্র সুরক্ষায়

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারা। কে বা কারা প্রাথমিক শিক্ষিকার ওপর হামলা চালাল তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে তারা।