Indo-Bangladesh border: ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে প্রাণহানি রুখতে ব্যবহার হবে কম বিপজ্জনক অস্ত্র

ভারত-বাংলাদেশ সীমানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে প্রায়ই মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অবৈধভাবে সীমানা পেরিয়ে প্রবেশের অভিযোগে বা পাচারের অভিযোগে এই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটছে। আর তাতেই বাড়ছে মৃত্যুর ঘটনা। এই মৃত্যুর ঘটনায় রাশ টানতে এবার উদ্যোগী হয়েছে দুই দেশ। সেক্ষেত্রে সীমান্তে চোরা চালানকারী হোক বা অনুপ্রবেশ এই সমস্ত ক্ষেত্রে আর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হবে না। সে ক্ষেত্রে অপেক্ষকৃত কম বিপজ্জনক অস্ত্র ব্যবহার করবে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এই মর্মে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত।

আরও পড়ুন: বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর মৃত্যু, মাথাভাঙায় রক্তারক্তি কাণ্ড

জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে ভারতে এসেছিলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাসান মাহমুদ। তাঁর সফরের সময় ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে এই দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি এই চুক্তি হয়েছে। জয়শঙ্কর ছাড়াও ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু প্রমুখ। এই বৈঠকে শুধু নিরাপত্তা নয়, তিস্তার জল বণ্টন নিয়েও বৈঠক হয়েছে। নতুন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসার পর সে দেশের বিদেশমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর এটাই হাসান মাহমুদের প্রথম বিদেশ সফর।

প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসে উত্তর ২৪ পরগনার যশোরের সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন বাংলাদেশের এক নিরাপত্তারক্ষী। সেই ঘটনার পরেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। যদিও বাংলাদেশের তরফে জানানো হয়েছিল যে ঘন কুয়াশার মধ্যে চোরাচালানকারীদের পিছু ধাওয়া করেছিলেন বাংলাদেশের ওই সীমান্তরক্ষী। সেই সময় বিএসএফের গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও বিএসএফের দাবি ছিল, যে ভারত সীমান্তের মধ্যে ১০০ মিটার ভিতরে ঢুকে পড়েছিল পাচারকারীরা। তখন তাদের উপর হামলা চালিয়েছিল পাচারকারীরা। তখনই বিএসএফ জওয়ানরা পালটা হামলা চালায়। এই ঘটনায় বাংলাদেশের দল বিএনপি সরব হয়েছিল। তারা রাষ্ট্রসংঘের দ্বারস্থ হতে চেয়েছিল। তবে শুধু এই ঘটনায় নয়, এর আগেও বাংলাদেশে বিএসএফের গুলিতে বহু মৃত্যু হয়েছে। সে ক্ষেত্রে তৃণমূলও বারবার বিএসএফের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে।