Walking Benefits: সঠিক ভাবে হাঁটছেন তো? নইলে বেশ কিছু অসুখের ঝুঁকি বাড়তে পারে

ফিট থাকার জন্য হাঁটা অত্যন্ত ভালো অভ্যাস। ব্যায়াম করতে না পারলে প্রতিদিন ১৫-২০ টা হেঁটে সার্বিক ফিটনেস বজায় রাখা যায়, তবে অনেক সময় কেউ কেউ হাঁটার পর পায়ে ব্যথা, কোমরে ব্যথা অনুভব করেন, যার কারণে কয়েকদিন হাঁটার পরে একটা লম্বা বিরতি নিতে হয়। এই সমস্যার শিকার হতে না চাইলে হাঁটার সময় কিছু বিশেষ বিষয়ের দিকে নজর রাখতে হবে।

হাঁটার সময় ঘাড় সামনের দিকে সোজা রাখতে হবে। নিচের দিকে বা ডানে-বামে তাকালে চলবে না। সব সময় সামনের দিকে তাকিয়ে হাঁটার চেষ্টা করুন। চিবুক কিছুটা নীচের দিকে কাত করা উচিত।

পেট ভেতরের দিকে টেনে রাখতে পারলে ভালো হয়। কাঁধের নড়াচড়া বেশি করতে হবে। হাঁটার সময় পিঠ সোজা রাখুন। সামনে-পেছনে ঝুঁকবেন না।

হাত ছেড়ে দিন, যাতে হাত ইচ্ছেমতো নড়াচড়া করতে পারে। এমনকী কনুই থেকে হাত বাঁকানো থাকলেও আরও ভালো।

– এমনভাবে হাঁটতে হবে যাতে পায়ের আঙুল, গোড়ালি, হাঁটু সচল থাকে।

– হাঁটা বা জগিং সবসময় জুতো পরে করা উচিত, চপ্পল পড়ে একেবারেই নয়।যতোটা সম্ভব  ঢিলেঢালা কাপড় ও বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। আঁটসাঁট পোশাক পরা চলবে না। স্পোর্টস ব্রা পরুন যাতে অন্তর্বাসের কারণে কোনও সমস্যা না হয়। খুব টাইট অন্তর্বাস পরা হার্নিয়ার কারণ হতে পারে।

হেঁটে গিয়ে ঘুরে আবার একই জায়গায় ফিরে আসবেন না। কেবল সোজা হাঁটুন। হাঁটার সময় গান শুনতে পারেন। ইয়ারফোনের ব্যবহার করা যেতেই পারে। এমন গান শুনুন যা দ্রুতহাঁটতে এনার্জি দেয়। এতে মন শিথিল হয়, কিন্তু রাস্তায় হাঁটার সময় গান শুনবেন না, এতে বিপদ হতে পারে।

হাঁটার সময় মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়ার উপায় আপনাকে শীঘ্রই ক্লান্ত করে তুলতে পারে। সেই সঙ্গে মুখ শুকিয়ে যেতে শুরু করে, বারবার তৃষ্ণার্ত অনুভূত হয়। ফুসফুসের পাশাপাশি পুরও শরীর ঠিকমতো অক্সিজেন পায় না, পাশাপাশি ধুলাবালি ফুসফুসে পৌঁছে যায়। তাই নাক দিয়ে নিশ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করুন।

ফোনে কথা বলার সময় হাঁটবেন না। এতে হাঁটার উপকারিতা কমে যায়, কারণ শরীর ও মনের মধ্যে সমন্বয় থাকা জরুরি।

খুব ঠান্ডা বা খুব গরম আবহাওয়া হলে হাঁটা এড়িয়ে চলুন, এতে স্ট্রোকের ঝুঁকি হতে পারে। একই সঙ্গে শীতকালে নিউমোনিয়া ও হাঁপানির সমস্যাও হতে পারে।

হিল স্ট্রেইন এড়িয়ে চলুন। পায়ের আঙুলের ওপর জোর দিলে ভালো হয়, না হলে গোড়ালিতে ব্যথা হতে পারে।