Qatar Espionage Case: ‘জয়শংকর কথা দিয়েছিলেন’, প্রাক্তন নৌসেনা অফিসার কাতার থেকে ফিরতেই আপ্লুত স্ত্রী

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কাতারের জেলে বন্দি আটজন প্রাক্তন নৌসেনা আধিকারিকের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সৌরভ বৈশিষ্ট। এহেন সৌরভ দেশে ফিরতেই আপ্লুত তাঁর স্ত্রী। এর আগে কাতারের আদালত আট ভারতীয়কে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানোর পরে বন্দিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। কাতারের জেল থেকে মুক্তি পাওয়া সৌরভের স্ত্রী মনসা বৈশিষ্ট জানালেন, সেই সময় নাকি জয়শংকর বন্দিদের ফিরিয়ে আনার জন্য কথা দিয়েছিলেন। (আরও পড়ুন: ভারত মহাসাগরে নজর দিল্লির, মলদ্বীপের খুব কাছেই এবার ২টি নৌঘাঁটি তৈরি করবে নৌসেনা)

আরও পড়ুন: এবার মলদ্বীপ থেকে বের করে দেওয়া হল ৪৩ ভারতীয়কে, দ্বীপ ছাড়া ৮৩ বাংলাদেশিও

উল্লেখ্য, গত ২০২৩ সালের ২৬ অক্টোবর ভারতীয় নৌসেনার ৮ জন প্রাক্তন আধিকারিককে (ক্যাপ্টেন নভতেজ গিল এবং সৌরভ বৈশিষ্ট, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, অমিত নাগপাল, এস কে গুপ্ত, বি কে ভার্মা এবং সুগুনাকর পাকালা এবং নাবিক রাগেশ) মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল কাতারের এক আদালত। এই ঘটনার পরই ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, এই রায়ে তারা হতবাক। এই আবহে এই ৮ ভারতীয়কে কাতার থেকে দেশে ফেরানোর জন্য দাবি উঠতে থাকে ভারতে। ২০২২ সালের তাদের কাতারে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরপর থেকে তারা জেলেই ছিলেন। তবে ২০২৩ সালে তাঁদের মৃত্যদণ্ড দেওয়ার পরে ভারত সরকারের তৎপরতা বেড়ে যায়। মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা শুরু করে বিদেশ মন্ত্রক। সেই মতো আট ভারতীয় প্রাক্তন নৌ কর্তার মৃত্যুদণ্ডের সাজাকে চ্যালেঞ্জ করে কাতারি আদালতে আপিল জানানো হয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত সরকারের মদতে ব্যক্তগিত ভাবেই আট ভারতীয় এই আপিল জানিয়েছিলেন। আর সেই আপিলের ভিত্তিতেই ৮ ভারতীয়র সাজা কমায় আদালত। পরে ভারতের কূটনৈতিক জয়ে কাতারি জেল থেকে মুক্তি পেয়ে ভারতে ফিরেছেন আটজন প্রাক্তন নৌ আধিকারিক। (আরও পড়ুন: আরও বিপাকে বিজয়, ‘দাবি’ খারিজের পরও সত্যি সত্যি পেটিএম-এর বিরুদ্ধে তদন্তে ইডি!)

আরও পড়ুন: UAE-তে হঠাৎ প্রধানমন্ত্রী মোদীর মুখে আরবি ভাষা, দেখুন সেই ভাইরাল ভিডিয়ো

জানা গিয়েছে, ‘দাহরা গ্লোবাল’ সংস্থার হয়ে এই ৮ ভারতীয় কাজ করতেন। উল্লেখ্য, এই সংস্থার মালিক নিজেও এই গুপ্তচরবৃত্তির মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তিনি নিজে ওমানের বিমান বাহিনীর প্রাক্তন কর্তা ছিলেন। জানা গিয়েছে, এই সংস্থাটি কাতারের নৌবাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল। কাতারের নৌবাহিনীতে ইতালিতে তৈরি ডুবোজাহাজের অন্তর্ভুক্তির দিকটিও দেখছিল এই সংস্থা।