Mamata on Farmers’ Protest: ‘কৃষকদের ওপর হামলা চালালে দেশ এগোবে কীভাবে?’ কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ মমতার

হরিয়ানা ও পঞ্জাব সীমান্তে কৃষকদের ওপরে আজ ড্রোনের মাধ্যমে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে হরিয়ানা পুলিশ। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ এক দীর্ঘ সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তোপ দাগেন মমতা। পাশাপাশি আজ মমতা মনে করান, কৃষকরাই দেশের সবার ভরণপোষণ করে। এই আবহে মমতার প্রশ্ন, ‘কৃষকদের ওপর হামলা চালালে দেশ এগোবে কীভাবে?’ (আরও পড়ুন: ‘বাংলায় ২০টি ভুল করা CPIM-এর পক্ষে নই’, বলল আন্দোলনকারী কৃষকরা, তোপ কংগ্রেসকেও)

আরও পড়ুন: ‘আসছে…’, অত্যাধুনিক বুলেট ট্রেনের ঝলক দেখালেন রেলমন্ত্রী, উপহার পাবে কলকাতাও!

আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় লেখেন, ‘কৃষকরা তাঁদের মৌলিক অধিকারের জন্য লড়াই করছেন। তাঁদের ওপর কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করা হলে আমাদের দেশ কীভাবে এগিয়ে যাবে? দেশের কৃষকদের উপর বিজেপির এই নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমি। কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা, নিরর্থক পিআর স্টান্ট, ‘বিকশিত ভারত’-এর বিভ্রম প্রকাশ করেছে কৃষক ও শ্রমিকরা। তাদের প্রতিবাদকে দমন করার পরিবর্তে বিজেপির উচিত নিজেদের স্ফীত অহংকার, ক্ষমতার ক্ষুধার্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে কমানো উচিত। আমাদের জাতির ক্ষতি করেছে তারা। নিজেদের প্রশাসনের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত বিজেপির। মনে রাখবেন, উচ্চ শ্রেণি এবং পরাক্রমশালী সহ আমাদের সকলকে টিকিয়ে রাখে এই কৃষকরাই। এই সরকারি বর্বরতার বিরুদ্ধে কৃষকদের সাথে একাত্ম হয়ে দাঁড়ানোর বার্তা দিতে চাই আমি।’

আরও পড়ুন: ‘আধার নিষ্ক্রিয় হয়েছে’ বলে চিঠি এসেছে? উদ্বেগ ও জল্পনার মাঝে বার্তা দিল UIDAI

উল্লেখ্য, আন্দোলনরত কৃষকদের দিল্লিতে প্রবেশ করা থেকে রুখতে রাস্তায় কনক্রিটের ব্যারিকেড তৈরি করে দিল্লি ও হরিয়ানা পুলিশ। এরই মাঝে কৃষকরা পঞ্জাব-হরিয়ানা শম্ভু সীমানায় পৌঁছলে ড্রোনে করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় হরিয়ানা পুলিশ। এই আবহে পঞ্জাব থেকে দিল্লিমুখী কৃষকদের তরফ থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে, এখন এই আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব হরিয়ানার কৃষকদের। কিষাণ মজদুর মোর্চার কোঅর্ডিনেটর সারওয়ান সিং পান্ধের এক ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, ‘কৃতৃপক্ষ বা প্রশাসনের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধাতে চাইছি না আমরা। আমরা এটাও বলছি না যে আমরা রাস্তা অবরোধ করব। সরকার নিজেরাই বিগত ২-৩ দিন ধরে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।’ এদিকে হরিয়ানা সরকারকে তোপ দেগে আন্দোলনরত কৃষকরা বলে, হরিয়ানাকে কাশ্মীরে পরিণত করা হয়েছে। এদিকে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডা এবং কেন্দ্রীয় খাদ্য ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন, সোমবার রাতের বৈঠক কিছুটা ফলপ্রসূ হয়েছে। কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডা বলেন, ‘আমরা এখনও আশা করছি কৃষক সংগঠনগুলি আলোচনায় বসবে। আমরা আগামিদিনে বেশ কিছু ইস্যু সমাধান করতে পারব।’