Ranji Trophy Bihar all out for 95 runs against Bengal as Mukesh Kumar took 5 wickets BCCI domestic Eden Gardens

সন্দীপ সরকার, কলকাতা: গ্যালারি থেকে ব্যানার ঝুলছে, ‘মনোজ তিওয়ারি আমাদের আবেগ, আমাদের ভালবাসা। ১০০০০…’। মাঠে যে শ’খানেক ক্রিকেটপ্রেমী খেলা দেখতে এসেছেন, তাঁদের মুখেও মনোজের নামে জয়ধ্বনি। বিদায়ী ম্যাচ খেলতে নেমেছেন বঙ্গ ক্রিকেটের কিংবদন্তি।

তবে ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) বিহারের বিরুদ্ধে নিজের কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নেমে প্রথম দিন ব্যাটিংয়ের সুযোগই পেলেন না মনোজ (Manoj Tiwary)। উল্টে দেখা গেল বাংলার বোলারদের দাপট। বিশেষ করে দুই পেসারের।

সূরয সিন্ধু জয়সওয়াল ও মুকেশ কুমার। প্রথমজন তো রঞ্জি অভিষেকেই শোরগোল ফেলে দিয়েছেন। প্রত্যেক ম্যাচে নিয়ম করে উইকেট তুলে চলেছেন সূরয। এদিনও ৪৭ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। দ্বিতীয়জন আবার বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ছিলেন রোহিত শর্মাদের শিবিরে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ভারতীয় দলের পেসার মুকেশ। তবে রাজকোটের ম্যাচে তাঁকে খেলানো হচ্ছে না। পরিবর্তে সুযোগ পেয়েছেন মহম্মদ সিরাজ। আর মুকেশকে ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচ খেলার জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, রাঁচিতে ফের ভারতীয় দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। বল হাতে ইডেনে বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন মুকেশ। ১৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচ করে নিলেন চার উইকেট। ইডেনে টস জিতে বিহারকে প্রথমে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মনোজ। বাংলার পেসারদের দাপটে ৪৬.৪ ওভারে মাত্র ৯৫ রানে শেষ হয়ে গেল বিহারের প্রথম ইনিংস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিনের শেষে বাংলার স্কোর ১১১/২। ইতিমধ্যেই ১৬ রানের লিড নিয়ে ফেলেছে বাংলা। ক্রিজে ৪৮ রান করে অপরাজিত অভিমন্যু ঈশ্বরণ। ১৩ রান করে তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছেন অনুষ্টুপ মজুমদার।

শুক্রবার ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই ধাক্কা খায় বাংলা। ওয়ার্ম আপের সময় গোড়ালিতে চোট পেয়ে ম্যাচ থেকেই ছিটকে যান সুদীপ ঘরামি। তাঁর পরিবর্তে একাদশে জায়গা পেয়ে যান রণজ্যোৎ সিংহ খইরা। যাঁর এই ম্যাচে বাদ পড়ার কথা ছিল। তবে ব্যাট করতে নামেননি খইরা। ফিল্ডিং করার সময় হাঁটুতে চোট পেয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় ইডেন ছাড়লেন খোঁড়াতে খোঁড়াতে। তিনি আদৌ ব্যাট করতে পারবেন কি না, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।

বিহার দলে রয়েছেন বীর প্রতাপ সিংহ। যিনি এক সময় বাংলার হয়ে খেলেছেন। কলকাতা নাইট রাইডার্স দলেও ছিলেন। এখন খেলেন বিহারের হয়ে। এদিন একটি উইকেট নিলেন। বিহারের বাকি বোলারদের সাদামাটা দেখিয়েছে।

দিনের খেলার শেষে মুকেশের গলায় স্বস্তি। বলছিলেন, ‘বাংলাকে মিস করছিলাম। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেই আমার উত্থান। বাংলার হয়ে ম্যাচে নিজের সেরাটাই দিচ্ছি।’

আর মনোজ প্রেমীরা অপেক্ষা শুরু করে দিয়েছেন শনিবার কখন ব্যাট হাতে কেরিয়ারের শেষ ম্যাচে দেখা যাবে তাঁকে।

আরও পড়ুন: অশ্বিনের কীর্তির দিনই ডাকেটের ঝোড়ো সেঞ্চুরি, ৩৫ ওভারে ২০৭ তুলল ইংল্যান্ড!

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।

আরও দেখুন