Amit Shah on Sandeshkhali: স্বাধীন ভারতে এত ভয়াবহ ঘটনা…বিজেপির অধিবেশনে উঠল সন্দেশখালি, ফুঁসে উঠলেন শাহ

সন্দেশখালির ঘটনা যেন নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা বাংলাকে। তবে শুধু বাংলাতেই নয়, দেশের রাজধানীতেও সন্দেশখালির ঢেউ আছড়ে পড়েছিল। এবার দিল্লিতে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকেও উঠল সন্দেশখালির প্রসঙ্গ। আর সেখানেই সন্দেশখালির প্রসঙ্গ উঠে এল খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের গলায়। 

বিজেপির ওই অধিবেশনে অমিত শাহ বলেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূল। হিংসা ছড়িয়ে বিজেপি কর্মীদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইন্ডিয়া জোটের দলগুলিও হিংসার রাজনীতি করছে। আর সেই ইন্ডিয়া জোটের কথা বলতে গিয়েই সন্দেশখালির ঘটনার প্রসঙ্গ তোলেন অমিত শাহ।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, সন্দেশখালিতে হৃদয় বিদারক ঘটনা হয়েছে। বিজেপির দাবি, স্বাধীন ভারতে এমন হৃদয় বিদারক ঘটনা আগে হয়নি। শুধু বাংলার লজ্জা নয়, এটা মানবজাতির লজ্জা বলে উল্লেখ করেন বিজেপি নেতৃত্ব। এদিকে গোটা ঘটনায় তৃণমূলের নিন্দায় সরব বিজেপি নেতৃত্ব।

তবে শুধু অমিত শাহ নন,  কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও এই সন্দেশখালির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। কার্যত সন্দেশখালির প্রসঙ্গ তুলে বার বারই বিজেপি নেতৃত্ব তৃণমূলকে তুলোধোনা করেন। 

শনিবার ও রবিবার দুদিন ধরে চলবে বিজেপির এই অধিবেশন। লোকসভা ভোটের আগে এই অধিবেশন বিজেপির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কার্যত সন্দেশখালি ইস্যুকে কাজে লাগাতে চেষ্টার কোনও কসুর করছে না গেরুয়া শিবির। সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এমনকী এবার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও এনিয়ে মুখ খুলতে শুরু করলেন। 

এর আগে সন্দেশখালি প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছিলেন, একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী এমন কথা বলছেন। লজ্জা লাগে আপনাদের। এত কুৎসিত, এত নিষ্ঠুর, এত নারীবিরোধী মমতাজি হয়ে গেলেন কেন?

বিজেপি নেতা আরও বলেছিলেন, বিজেপির কোনও মুখ্যমন্ত্রী যদি একই ধরনের মন্তব্য করতেন তাহলে তা বড় ব্যাপার হয়ে যেত। বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছিলেন, এটাকে লজ্জাজনক দ্বিচারিতা বলা হচ্ছে।

আসলে সন্দেশখালি গ্রামে অশান্তির জন্য রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে দায়ী করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার দাবি, আরএসএসের অন্য পরিকল্পনা ছিল এলাকায় হিংসা ছড়ানোর । সেখানে আরএসএসের ঘাঁটি রয়েছে। ৭-৮ বছর আগে সেখানে দাঙ্গা হয়েছিল। এটি দাঙ্গার অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ স্থান। সরস্বতী পুজোর সময় আমরা পরিস্থিতি কড়া ভাবে সামাল দিয়েছিলাম, না হলে অন্য পরিকল্পনা ছিল।