Khalistani Pannun to Farmers: ‘বুলেটের জবাব বুলেটে’, পাকিস্তান থেকে কৃষকদের হাতে অস্ত্র তুলে দিতে চাইল খলিস্তানি পান্নুন

কৃষক আন্দোলন ২.০ শুরু হয়েছে লোকসভা ভোটের মুখে। এই আবহে আন্দোলনরত কৃষকদের হাতে অস্ত্র তুলে নিতে বার্তা দিল নিষিদ্ধ খলিস্তানি জঙ্গি সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’-এর প্রধান গুরপতবন্ত সিং পান্নুন। এর আগে প্রথম দফার কৃষক আন্দোলনেও খলিস্তানিদের নাক গলানোর খবর সামনে এসেছিল। এবারও এই আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে বিচ্ছিনতাবাদীরা পঞ্জাবে অশান্তি ছড়াতে চাইছে। এই আবহে পান্নুন এক ভিডিয়ো বার্তায় কৃষকদের উদ্দেশে বলে, ‘বুলেটের জবাব বুলেটের মাধ্যমেই দিতে হবে।’ (আরও পড়ুন: আধার নিষ্ক্রিয়তায় আঁধারে পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ, ‘কোন দেশে যাব?’ উঠল কাতর প্রশ্ন)

আরও পড়ুন: আধার নিষ্ক্রিয়তার চিঠি পেলে কী করতে হবে? কোথায় মিলতে পারে সমাধানসূত্র?

ভিডিয়ো বার্তায় পান্নুন দাবি করে, পাকিস্তানের কর্তারপুর সাহিবে নাকি কৃষকদের জন্য অস্ত্র রয়েছে। রাজস্থান-পাকিস্তান সীমান্তের কাছেও নাকি কৃষকদের জন্য অস্ত্র রাখা আছে। এদিকে পান্নুনের এই ভিডিয়ো বার্তায় অস্বস্তিতে পড়ে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ সরাসরি এই সব দাবি উড়িয়ে দিয়ে পান্নুনকে পালটা তোপ দেগে বলে, পাকিস্তানকে বদনাম করতেই এই সব দাবি করা হয়েছে। এর আগেও ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় খলিস্তানি নেতা পান্নুন ভারতে হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানেও হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল সে। এদিকে গতবছরই পান্নুনকে খুনের ছক কষার অভিযোগে চেক প্রজাতন্ত্রে এক ভারতীয় নাগরিক গ্রেফতার হয়েছিল।

আরও পড়ুন: ঠিক যেন সিনেমার দৃশ্য! লাহোরে বিয়ে চলাকালীন চলল গুলি, খুন আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন

এদিকে রবিবার মধ্যরাতে শেষ হয় কেন্দ্রীয় সরকার এবং কৃষকদের চতুর্থ দফার বৈঠক। এই বৈঠক থেকেও কোনও সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসেনি বলেই জানা গিয়েছে। অবশ্য রিপোর্ট অনুযায়ী, বৈঠকে কেন্দ্রের তরফ থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে নয়া প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে আন্দোলনরত কৃষকদের। জানা গিয়েছে, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যকে শস্য বৈচিত্র্যের সঙ্গে জুড়তে চাইছে সরকার। অপরদিকে সরকারের তরফ থেকে আসা নয়া প্রস্তাব নিয়ে ভেবে দেখতে সোমবার পর্যন্ত সময় চেয়েছেন কৃষক নেতারা। তবে মধ্যরাতের বৈঠকের পরে কিষাণ মজদুর মোর্চার আহ্বায়ক সরবন সিং পন্ধের এবং সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতা জগজিৎ সিং দল্লেওয়াল দাবি করেন, কেন্দ্রের এই প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়। তাও তারা নিজেদের সমর্থকদের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করার জন্য সময় চেয়ে নিয়েছেন। আপাতত ২১ ফেব্রুয়ারির ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচি স্থগিত রাখা হয়েছে। এই বিষয়ে কৃষক নেতা পন্ধের বলেন, ‘এক-দু’দিনের মধ্যে আবার আলোচনায় বসতে পারি আমরা।’ পাশাপাশি কেন্দ্রের কাছে তাঁর দাবি, কৃষকরা দিল্লি যাওয়ার জন্যে অগ্রসর হলে সরকার যেন তাদের জন্য পথ ছেড়ে দেয়।