Kunal Ghosh on Suvendu Adhikari: বিজেপির জাতীয় সম্মেলনে ‘দেখা মেলেনি’ শুভেন্দুর, কারণ নিয়ে বিস্ফোরক কুণাল

দিল্লিতে বিজেপির জাতীয় সম্মেলনে শুভেন্দু অধিকারীকে ‘দেখা যায়নি’ বলে দাবি করা হচ্ছে একাধিক রিপোর্টে। রবিবার শেষ হয় দু’দিনের এই অনুষ্ঠান। অসুস্থ থাকায় বঙ্গ বিজেপির প্রধান সুকান্তবাবু শনিবার সকালে সেখানে যেতে পারেননি। তবে সেখানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারীর। তবে রিপোর্টে দাবি করা হয়, শনি বা রবিবারে একটি বারের জন্য সেই অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অবশ্য শনিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই দিল্লি গিয়ে সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন সুকান্ত। তবে সেখানে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি বলেই জানান সুকান্ত। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও একই দাবি করেন। তাহলে শুভেন্দু কোথায় গেলেন? এই নিয়ে এবার বিস্ফোরক দাবি করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। (আরও পড়ুন: আধার নিষ্ক্রিয়তায় আঁধারে পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ, ‘কোন দেশে যাব?’ উঠল কাতর প্রশ্ন)

আরও পড়ুন: বাংলায় আরও এক দফায় বাড়বে ডিএ, সরকারি কর্মীদের পকেটে ঢুকবে কত বেশি বেতন?

একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে কুণাল ঘোষ শুভেন্দুকে নিয়ে লেখেন, ‘বিজেপির জাতীয় কমিটির বৈঠকে বক্তা হতে চেয়েছিল শুভেন্দু। নেতৃত্ব ওকে বক্তা করেনি। তাই গোঁসা করে দিল্লির মিটিংয়েই যায়নি। বক্তা হতে পারেনি বলে মিটিং বয়কট করেছে আমিত্বে পাগল অধিকারী। খবর বিজেপি সূত্রের।’ এদিকে কুণাল এই কথা লিখলেও রিপোর্টে দাবি করা হয়, শুভেন্দুরই বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বলার কথা ছিল সম্মেলনে। তিনি না থাকায় সেই দায়িত্ব দেওয়া হয় বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালকে। তবে কলকাতা হাই কোর্টে কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্যকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে শুভেন্দু অখুশি বলে জানা গিয়েছে।

এদিকে বিজেপির জাতীয় সম্মেলনের শেষ দিনে দলের কর্মী ও নেতাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি বলেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে ১০০ দিনের মধ্যেই ভোটারদের আস্থা ও সমর্থন অর্জন করতে হবে। বিজেপির প্রতিটি সদস্যকে এই লক্ষ্যে কাজ করার নির্দেশ দেন মোদী। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ১০০ দিনে আমাদের প্রত্যেককে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছতে হবে। প্রতিটি নতুন ভোটার, প্রতি সরকারি সুবিধাভোগী এবং প্রতিটি সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছতে হবে। আমাদের সকলের আস্থা ও সমর্থন অর্জন করতে হবে। আমাদের কর্মীরা ২৪ ঘণ্টা জনগণের সঙ্গেই থাকেন। তাঁদের আস্থা অর্জনের জন্যই কাজ করেন। তবে আগামী ১০০ দিন আমাদের নতুন উদ্যম এবং প্রাণশক্তি নিয়ে কাজ করতে হবে। যে যুবক-যুবতীরা ১৮ বছরের গণ্ডি ছাড়িয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যে তারাও ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে ভোট দেবে। বিকশিত ভারতের স্বপ্ন দেখার এটাই সময়।’

এদিকে মোদী আরও বলেন, ‘দেশের স্বপ্ন এবং সংকল্প আমাদের জন্য সবচেয়ে বড়। বিকশিত ভারত তৈরি আমাদের স্বপ্ন এবং শপথ। আগামী পাঁচ বছরে আমাদের দেশকে সেই পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। এর জন্য আমাদের বড় পদক্ষেপ করতে হবে ৷’ এদিকে আসন্ন লোকসভা ভোট প্রসঙ্গে মোদী বলেন, ‘আজ বিরোধী দলের কিছু নেতাও বলছেন, এনডিএ ৪০০ আসন পার করে যাবে। লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ-কে ৪০০ পেরিয়ে যেতে হলে, বিজেপিকে ৩৭০ বা তার বেশি আসন পেতেই হবে।’