HS exam 2024: পেন্সিল বক্সে করে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ, ছাত্রীর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল

পেন্সিল বক্সের ভিতরে মোবাইল লুকিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে ঢুকে পড়েছিল ছাত্রী। এই অভিযোগে ওই ছাত্রীর পরীক্ষা বাতিল করল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরের নিমপুরা আর্য বিদ্যাপীঠে পরীক্ষার সিট পড়েছিল ছাত্রীর। সোমবার ছিল ইংরেজি পরীক্ষা। ছাত্রীকে মোবাইলসহ হাতেনাতে ধরে ফেলেন পরীক্ষক। এরপর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি তার পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: জলের বোতল ও বোর্ড নিয়ে ঢুকতে মানা, মালদায় উত্তেজনা উচ্চমাধ্যমিকে

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, মোবাইল নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ এবং মোবাইলের প্রশ্নপত্রের ছবি তোলার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত মোট চারজন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এদিনের ঘটনায় ওই ছাত্রীর পরীক্ষা শুধু সোমবারই বাতিল করা হয়নি, বাকি বিষয়ে পরীক্ষাও দিতে পারবে না ওই পরীক্ষার্থী। সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১০ মিনিট আগে প্রশ্নপত্র দিচ্ছিলেন পরীক্ষক। সেই সময় ছাত্রীর পেনসিল বক্সে মোবাইল চোখে পড়ে পরীক্ষকের। তখনই তিনি সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রীর কাছ থেকে মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেন। সেই সঙ্গে সংসদের নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা বাতিল করে দেয় উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক রামজীবন মান্ডি জানান, ওই ছাত্রীকে বাকি বিষয়ে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না।

উল্লেখ্য, এর আগে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার অভিযোগ উঠেছিল এক পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এরপর পরীক্ষক অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীর বাকি বিষয়ের পরীক্ষাগুলি বাতিল করে দেন। এছাড়াও পরবর্তী সময়ের পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশের অভিযোগে আরও দুই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হয়। তা সত্ত্বেও মোবাইল নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেখা যাচ্ছে পড়ুয়াদের। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে সম্পন্ন হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। সেই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র। সেই অভিযোগে ৩৪ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করে পর্ষদ। তার মধ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষার তৃতীয় দিন পরীক্ষা দিতে গিয়ে এক ছাত্রীকে পরীক্ষা হল থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা যায়, ওই ছাত্রীর প্রশ্ন সোশ্যাল মিডিয়া ফাঁস হয়েছিল। তারপর তার পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়। এছাড়াও মোবাইল নিয়ে প্রবেশের অভিযোগেও একাধিক পড়ুয়ারা পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল মাধ্যমিকে। তারপর থেকেই আঁচ করা হচ্ছিল যে উচ্চমাধ্যমিকে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। সেইমতোই উচ্চমাধ্যমিকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।