Bidhannagar Municipality: পকেট পার্ক করে দূষণ মোকাবিলায় নামছে বিধাননগর পুরসভা, বায়ুদূষণ রুখবে বিশেষ যন্ত্র

 বায়ুদূষণের সমস্যা কপালে ভাঁজ ফেলেছে বিধাননগর পুরসভার। কলকাতার তুলনায় গাছপালা বেশি থাকলে তাতে বর্ধিত দূষণের পরিমাণ কমছে না। এই পরিস্থিতিতে দূষণের মাত্রা কমাতে সল্টলেকের বিভিন্ন ব্লকে যে ছোট ছোট ফাঁকা জায়গা রয়েছে সেখানে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বিধানগর পুরসভা। এছাড়া পথে ধুলো এবং দূষিত বাতাস শুষে নেওয়ার জন্য বিশেষ টন্ত্র বসানোরও পরিকল্পনা রয়েছে পুরসভার। 

পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতি দশজন মানুষ পিছু একটি গাছ থাকলে পরিবেশের দূষণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়। কিন্তু সল্টলেকে জনসংখ্যার তুলনায় গাছের সংখ্যা যথেষ্ট কম। ফলে বাড়ছে বায়ুদূষণ। 

পকেট পার্ক

তাছাড়া ইয়াস, উম্ফুনের জন্য প্রচুর বড় গাছ পড়ে গিয়েছে। পুরসভার হিসাব অনুযায়ী ৬ ফুটের বেশি উচ্চতার প্রায় ১৫০ গাছ পড়ে গিয়েছে। সেই ক্ষতপূরণ হবে কীভাবে তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের আলোচনা করছিলেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা। তারপরই এই সমাধান উঠে এসেছে। এই ধরনের ছোট ছোট পার্কগুলি ‘পকেট পার্ক’ হিসাবে পরিচিত। দূষণ সমস্যা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে এই পকেট পার্কগুলি, বলে মনে করছে আধিকারিকেরা। 

আর পডুন। হিন্দি-উর্দু চলবে না,সরকারি চাকরিতে চাই শুধু বাংলা’, ভাষা দিবসে বিশিষ্টদের সই করা চিঠি মমতাকে

বিশেষ যন্ত্রে বায়ু পরিশোধন

পুর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দূষিত বাতাস ও ধুলিকণা টেনে নিয়ে বাতাস পরিশোধন করতে এক ধরনের যন্ত্র বসানো হবে। পুরসভার বক্তব্য, গাড়ি থেকে বেরোনো দূষিত বাতাস টেনে নেবে এই যন্ত্র। পাশাপাশি বায়ু পরিশোধনও করবে। আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য দেবে। বৃষ্টির পরিমাণও জানাবে এই বিশেষ যন্ত্র।

পরিবেশ বিজ্ঞনীরা জানাচ্ছেন, অপরিকল্পিত নগারায়ন, গাছের সংখ্যা কমে যাওয়া পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ। নগরায়নের প্রয়োজনে কেটে ফেলা হচ্ছে গাছ। এর সঙ্গে ঝড় বা অন্যান্য কারণের গাছ পড়ে গেলে তা আর নতুন করে লাগানো হচ্ছে না। তাই গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি এই সমস্যার অনেকটা সমাধান করতে পারে। 

কমিটির পরমর্শেই পদক্ষেপ

এই সময়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সল্টেলেকে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণের রাস্তা বের করার জন্য একটি কমিটি তৈরি করে বিধাননগর পুরসভা। সেই কমিটি এই ভাবে পকেট পার্ক তৈরি করে গাছ লাগানোর পরামর্শ দিয়েছে। সেই পরামর্শ মেনে এবার এবার গাছ লাগবে পুরসভা।

পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে তাঁর পরামর্শ, এলাকার ভিত্তিতে গাছ নির্বাচনে জোর দিতে হবে।