St. Stephen’s College: সকালের অ্যাসেম্বলিতে ফাঁকি, সেন্ট স্টিফেন্স কলেজের শতাধিক পড়ুয়াকে সাসপেন্ড, পরীক্ষাও অনিশ্চিত

নয়াদিল্লি: সকালের অ্যাসেম্বলি সেশনে ঠিকঠাক উপস্থিতি ছিল না অনেকের। আর তার জেরে এবার কড়া শাস্তি। পর্যাপ্ত উপস্থিতি না থাকায় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ প্রথম বর্ষের শতাধিক পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করেছে বলে খবর। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শাস্তি হিসেবে ওই শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া না হতে পারে। 

কলেজ কর্তৃপক্ষ ৪ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের কাছে একটি ইমেল পাঠিয়ে কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করতে বলেছে এবং তাদের অভিভাবকদেরও সভায় উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করেছে।

এর পরে, কলেজ কর্তৃপক্ষ ১৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের কাছে একটি ফলো-আপ ইমেল পাঠিয়ে অ্যাপয়েন্টমেন্ট সেট আপ করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য জরিমানা হিসাবে দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা স্থগিত এবং বহিষ্কারের কথা জানায়।

এর পরপরই শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা অধ্যক্ষ জন ভার্গিসের কাছে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং অবিলম্বে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। রবিবার ই-মেলের মাধ্যমে ভার্গিস ও কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে পড়ুয়ারা জানায়, যেহেতু বেশিরভাগ পড়ুয়ার বাবা-মা দিল্লির বাইরে থাকেন, তাই সংক্ষিপ্ত নোটিশে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করা সম্ভব নয়।

তাঁরা লেখেন, স্যার, অনেক  পড়ুয়ার পক্ষে অ্যাপয়েন্টমেন্ট সেট করা সম্ভব ছিল না, কারণ তাদের বাবা-মা দিল্লি এনসিআরে থাকেন না। তবুও, কিছু শিক্ষার্থী অভিভাবক ছাড়াই অ্যাপয়েন্টমেন্ট ঠিক করার চেষ্টা করেছিল কিন্তু প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল এবং অন্যরা তাদের ইমেল বা ই-ফাইলগুলির কোনও প্রতিক্রিয়া পায়নি।

স্থগিতাদেশের কারণে শিক্ষার্থীদের ক্লাস এবং পরীক্ষা অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে শিক্ষকরাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সঞ্জীব গ্রেওয়াল অধ্যক্ষকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, সকালের সমাবেশে হাজিরার ঘাটতি পড়ুয়াদের পরীক্ষায় বসতে বাধা দেওয়ার কারণ হতে পারে না।

গ্রেওয়াল লিখেছেন, সকালের সমাবেশে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা সংবিধানের ২৫ এবং ২৮(৩) অনুচ্ছেদের অধীনে শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করতে পারে এবং তাই বেআইনি।

এইচটি এই উন্নয়নের বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছেছে। এব্যাপারে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। 

এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্য়েই পড়ুয়াদের মধ্য়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই ধরনের নির্দেশ কতটা যুক্তিসংগত তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তবে শেষ পর্যন্ত এই নির্দেশের জল কতদূর গড়ায় সেটাও দেখার। তবে মনে করা হচ্ছে পড়ুয়াদের নিয়ম শৃঙ্খলা শেখানোর জন্যই এই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।