Konnagar Child Death: একটু কথা বলিয়ে দেবেন? ও খেয়েছে? বান্ধবীর জন্য মন কাঁদছে কোন্নগরে শিশু খুনে অভিযুক্ত মায়ের

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কোন্নগরে ঘরের মধ্যে খুন হয়েছিল ছোট্ট শিশুর। তদন্তে নেমে পুলিশ ওই সন্তানের মা ও তার বান্ধবীকে গ্রেফতার করে। ৯দিনের পুলিশ হেফাজতে রয়েছে মা ও তার বান্ধবী। তবে দুজনে দু জায়গায়। মা শান্তা রয়েছেন উত্তরপাড়া থানায় আর পারভীন রয়েছেন শ্রীরামপুর থানায়। তবে সূত্রের খবর, সন্তান খুনে অভিযুক্ত মা শান্তা। কিন্তু সন্তান খুনে অভিযুক্ত হওয়ার পরেও অনুশোচনা নেই শান্তার। বান্ধবীর জন্য মন কাঁদছে তার। বার বার পুলিশকে বান্ধবীর কথা জিজ্ঞাসা করছেন তিনি। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে সমপ্রেমের পথে কাঁটা ছিল শান্তার সন্তান। নাকি এর পেছনে অন্য কোনও কারণ ছিল সেটা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। আর তার জেরেই ওই শিশুকে সরিয়ে দেওয়া হয়। 

এদিকে থানায় বসেই একবার অন্তত দুজনে কথা বলতে চান। অন্তত ফোনেও কথা বলতে চান তারা। এতটাই টান তাদের। 

এদিকে দুজনেই দাবি করেছে তারা খুন করেনি শিশুকে। তবে দুজনেই বার বার পুলিশকে জিজ্ঞাসা করেছে খাওয়া দাওয়া করছে কি না। মৃত সন্তানকে নিয়ে সেভাবে কষ্ট নেই মায়ের। তবে বান্ধবীর জন্য মন খারাপটা কিছুতেই যাচ্ছিল না। কিন্তু কেন এভাবে স্বাভাবিক আচরণ করছেন শান্তা, মৃত সন্তানের জন্য এতটুকু কান্না নেই সেটা দেখে কার্যত হতবাক অনেকেই।

১৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় শ্রেয়াংশু খুন হয়। সেই সময় বাড়িতে শিশুটির বাবা-মা কেউ ছিলেন না বলে দাবি। আত্মীয় এবং প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে অফিস থেকে তাড়াতাড়ি ফেরেন শিশুর বাবা পঙ্কজ শর্মা। তাঁর দাবি, শ্রেয়াংশুকে খুন করা হয়েছে।

তিনি জানিয়েছিলেন, ঘরের সিঁড়ির পাশে পড়ে থাকা থান ইট, টেবিলে থাকা গণেশমূর্তি দিয়ে আঘাত করা হয়। রান্নাঘরে পড়ে থাকা সব্জি কাটার ছুরি দিয়ে ছেলের শরীর ক্ষতবিক্ষত করে খুনিরা।

তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে পরিবাররের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তার পর গ্রেফতার করা হয় শিশুটির মাকে। মায়ের কললিস্ট ঘেঁটে পুলিশ তাঁর বান্ধবী ইফফাত পারভিন সম্পর্কে জানতে পারে। তার পর তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশ দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের কারণ স্পষ্ট করার চেষ্টা করছে।

এদিকে শান্তার স্বামী প্রথমদিকে বুঝতে পারেননি এই খুনের পেছনে কে রয়েছে? তবে এই ফুটফুটে শিশুকে কে খুন করল তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। তবে পুলিশ উভয়কেই জেরা করে খুনের একেবারে মূলে পৌঁছনর চেষ্টা করছে। 

তবে গোটা ঘটনায় রহস্যটা থেকেই গিয়েছে। বুধবার আদালতে যাওয়ার পথে শান্তা শর্মা সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আমি ওকে মারিনি।’ তবে কী তিনি বন্ধবীর দিকে আঙুল তুলছেন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি সেটা বলতে পারব না।’ কী সম্পর্ক ছিল আপনার বান্ধবীর সঙ্গে? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ভাল বন্ধু যেমন হয়।’

তদন্তকারীদের দাবি, সম্পর্কের টানাপড়েনেই খুন হতে হয়েছে কোন্নগরের আদর্শনগরে আট বছরের শিশু শ্রেয়াংশুকে। সমকামী সম্পর্কের প্রসঙ্গও উঠেছে প্রাথমিক তদন্তে।