Meaty Rice: শুধু ভাত খেলেই পাবেন মাংসের স্বাদ, অন্য রকম ‘হাইব্রিড’ খাবার আনছে কোরিয়া

অদ্ভুত ‘হাইব্রিড’ চাল, যার স্বাদ সম্পূর্ণ মাংসের মতো। নিরামিষ মাংসও বলা যায় এই খাবারকে। স্বাদে, পুষ্টিগুণে ভরপুর এই খাবার খেলে শরীরে অনেক উপকারও পাওয়া যাবে। বিজ্ঞানীরা এমনই এক চাল তৈরি করেছেন। যাঁরা আমিষ খান, সুখবর রয়েছে তাঁদের জন্যই। বিজ্ঞানীরা এমন একটি হাইব্রিড চাল তৈরি করেছেন যার স্বাদ ও পুষ্টিগুণ হুবহু মাংসের মতো। এই চালে আমিষের সমান প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও জিঙ্কের মতো পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। বিজ্ঞানীরা এই ধানের নাম দিয়েছেন ‘মাংসের চাল’।

কতটা উপকারী এই মাংসের চাল?

এর গুণাবলী জানলে আপনিও স্তম্ভিত হয়ে যাবেন। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বিজ্ঞানী গবেষণাগারে এই হাইব্রিড চাল তৈরি করেছেন। এই চাল তৈরিতে অনেক ধরনের মাংস মেশানো হয়েছে। এতে মাছের স্বাদও পাবেন। গবেষকরা বলছেন, এই চাল দেখতে হুবহু সাধারণ চালের মতোই, তবে এতে আছে ৮ শতাংশ বেশি প্রোটিন এবং সাধারণ মাংসের চেয়ে ৭ শতাংশ বেশি চর্বি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আপনি সহজেই এটিকে সাধারণ তাপমাত্রায় ১১ দিনের জন্য সংরক্ষণ করতে পারেন। এই ভাত মাংসপেশির প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাতেও ব্যাপকভাবে সাহায্য করবে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, যুদ্ধ বা জরুরি পরিস্থিতিতে এই চাল ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি সেনাবাহিনীর জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে। মাংসের চাল অপুষ্টির বিরুদ্ধে লড়াইয়েও সহায়ক। আজকের বহুমূল্যের বাজারে এটি শরীরে প্রোটিনের জোগানোর জন্য একটি সস্তা বিকল্প হিসাবেও বিবেচিত হতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর উৎপাদনও খুবই সহজ। এই চাল উৎপাদনের জন্য আপনাকে অনেক প্রাণী লালন-পালন করতে হবে না এবং সেইভাবে চাষাবাদও নাকি করতে হবে না। তবে এখন দেখার বিষয় এই মাংসের চাল কবে থেকে বাজারে পাওয়া যাবে এবং মানুষ তা আদৌ ব্যবহার করতে চাইবে কি না!

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে প্রোটিন সাধারণত যেকোনও প্রাণী থেকে পাওয়া যায়। পশু লালন-পালন করতে গেলে অনেক সম্পদ এবং জল খরচ হয়। যার কারণে প্রচুর গ্রিন হাউস গ্যাসও নির্গত হয়। গত ২০১৩ সালে, লন্ডনের কিছু বিজ্ঞানী একটি অনন্য আমিষ বার্গার তৈরি করেছিলেন। এই বার্গারটি সিঙ্গাপুরে বিক্রি হয়েছিল, যা মানুষ অনেক পছন্দও করেছিলেন।