Pakistan: সংখ্যালঘুর পক্ষে রায় দেওয়ায় পাক বিচারপতিকে ‘ইসলামের শত্রু’ বলে আক্রমণ, পাশে দাঁড়াল সুপ্রিম কোর্ট

পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি কাজি ফায়েজ ইসাকে নিশানা করে নানা ধরনের কটাক্ষ চলছিল সোশ্য়াল মিডিয়ায়। আসলে আহমদি ধর্মীয় সম্প্রদায়ভুক্ত এক ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। 

ওই ব্যক্তি নিষিদ্ধ আহমদি নথি নিয়ে প্রচার করেছিলেন বলে অভিযোগ। এদিকে মুসলিম প্রধান পাকিস্তানে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায়। এমনকী এটাকে ধর্মদ্রোহিতার সমান বলে অভিযোগ তোলেন মুসলিমদের একাংশ। ইসলামকে অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। 

এদিকে এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির রায়ের পরেই অনলাইনে ওই বিচারপতির বিরুদ্ধে কার্যত নানা হুমকি দেওয়া শুরু হয় । এমনকী নাম না করে তাঁকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তবে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য় তাদের প্রধান বিচারপতির পাশে দাঁড়িয়েছে। 

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাক সুপ্রিম কোর্ট একটা বিবৃতি জারি করেছে। সেখানে কার্যত ওই রায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে পাক সুপ্রিম কোর্ট। এনিয়ে সাফাই দেওয়া হয়েছে। ইসলামিক সংবিধানের বিরুদ্ধে এই রায় গিয়েছে বলে যে অপপ্রচার হচ্ছিল সেটা মানতে চায়নি পাক সুপ্রিম কোর্ট। পাক সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, যেটা বলা হচ্ছে সেটা ঠিক নয়। পুরো ভুল। বিচারব্যবস্থা ও বিচারপতির বিরুদ্ধে এই ধরনের সংগঠিত অপপ্রচার এটা দুর্ভাগ্যজনক। 

এদিকে ওই বিচারপতির রায় সম্পর্কে দুসপ্তাহ কোনওরকম কেউ কিছু বলতেন না।  পরে তেহরিক ই লাব্বাইক পাকিস্তান পার্টির তরফে এনিয়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায় লেখালেখি শুরু করে। তারপরই ধর্মদ্রোহিতার অভিযোগ তুলে ময়দানে নামা শুরু হয়। 

এদিকে তালিবান জঙ্গি গোষ্ঠীর পাকিস্তান চ্যাপটার তেহরিক ই তালিবান পাকিস্তানের তরফে ওই বিচারপতিকে ইসলামের শত্রু ও শয়তান  বলে উল্লেখ করা হয়। 

এদিকে পাকিস্তানের সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনী হয়েছিল ১৯৭৪ সালে। তখন আহমদিদের অমুসলিম বলে উল্লেখ করা হয়। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে। 

এমনকী পাক আইনে বলা হয়েছে, তারা নিজেদের মুসলিম বলে উল্লেখ করতে পারবে না। তারা তাদের বিশ্বাসকে প্রকাশ করতে পারবে না। তারা এই ধরনের আচরণ করলে তাদের মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। তারা যদি ইসলামকে অপমান করে তাদের কঠোর সাজা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এদিকে  রায় দেওয়ার সময় বিচারপতি জানিয়েছিলেন, প্রতি ব্যক্তির তাঁদের বিশ্বাস অনুসারে তাঁদের ধর্ম আচরণের অধিকার রয়েছে। বিশ্বাসের স্বাধীনতা হল ইসলামের মৌলিক বিষয়। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে ধর্মের সময় কোরানের নির্দেশগুলিকে ভুলে যাওয়া হয়।