Sandeshkhali: জামিন পেলেই লন্ডনে পালাতে পারেন শাহজাহান, সন্দেশখালির ভাইজানকে নিয়ে আশঙ্কা ইডির

শাহজাহান শেখ। বেতাজ বাদশা বললেও খুব কম বলা হয়। সন্দেশখালির ঘটনা যত সামনে আসছে ততই বোঝা যাচ্ছে সন্দেশখালির অঘোষিত জমিদার ছিলেন শাহজাহান। দিনের পর দিন ধরে তিনি বেপাত্তা। এদিকে শুক্রবার সেই শাহজাহানের আগাম জামিনের মামলার শুনানি ছিল। সেখানে তার আগাম জামিনের বিরোধিতা করে ইডি। ইডির তরফে আইনজীবী জানিয়ে দেন, আগাম জামিনের বিরোধিতা করা হচ্ছে। কারণ জামিন পেলে যদি লন্ডনে চলে যান তবে মামলা ভেস্তে যেতে পারে। 

আর এখানেই অনেকের প্রশ্ন শাহজাহান কি নীরব মোদী নাকি! তবে দাপটে তিনি অনেক জনকেই ছাপিয়ে গিয়েছেন একথা বলাই য়ায়। কোথায় গেল শাহজাহান? সেই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি এখনও। 

ইডির আইনজীবী বলেন, তিনি ব্লু আয়েড বয়, টক অফ দ্য টাউন। শাহজাহান ক্ষমতাবান। পনেরো মিনিটে তিন হাজার লোক জড়ো করে ফেলতে পারেন।

তবে এখন অবশ্য সেই শাহজাহানের বিরুদ্ধেই ফুঁসছে সন্দেশখালি। ইডির আইনজীবীর দাবি, পুরনো অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। খুনের ধারাতে মামলার পরেও গ্রেফতার হননি শাহজাহান। সরকারি দফতরে হামলার ঘটনাতেও শাহজাহানের যোগ রয়েছে। তবে সেই মামলায় তাকে পুলিশের তরফে ফেরার দেখানো হয়েছে। এদিকে শাহজাহানের আইনজীবী অবশ্য় তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সেই সঙ্গেই আইনি রক্ষাকবচ চাইছেন। 

তবে শাহজাহান যে কতটা প্রভাবশালী ছিল তা সন্দেশখালি গেলেই আঁচ করা যায়। গোটা সন্দেশখালিতে শেষ কথা ছিল শাহজাহান। এমনকী থানাও নাকি বলত শাহজাহান, শিবু হাজরার কাছে যাও। এতটাই প্রভাবশালী সে। এখানেই প্রশ্ন সেই শাহজাহানকে কেন ধরতে পারছে না পুলিশ?

এদিকও এদিনও দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকা। বৃহস্পতি ও শুক্রবার সন্দেশখালিতে বিভিন্ন ঘটনায় এদিন বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীকে পুলিশ গ্রেফতার করে বলে দাবি স্থানীয়দের। বেড়মজুর গ্রামের অন্তত ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে গ্রামবাসীদের তরফে দাবি করা হয়। তাদের নিয়ে বেপরোয়া গতিতে সরু রাস্তা দিয়ে পুলিশের গাড়ি সন্দেশখালি থানার দিকে ছুটছিল বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, কাটাপোল এলাকায় এক মহিলাকে ধাক্কা মারে পুলিশের গাড়ি। ধাক্কায় রাস্তার পাশে ছিটকে পড়েন তিনি। 

ফুলমণি ভুঁইয়া নামে আক্রান্ত মহিলা জানিয়েছেন, তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। কোনও আন্দোলনেও যাননি তিনি। এদিন রাস্তার এক ধার দিয়ে বাড়ি থেকে দোকানে যাচ্ছিলেন তিনি। তখনই বেপরোয়া পুলিশের গাড়ি তাঁকে ধাক্কা মারে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।

তবে এতসব কিছুর মধ্যেও খোঁজ নেই শেখ শাহজাহানের।