হেমেন্দ্র চতুর্বেদী
উত্তর প্রদেশের কাসগঞ্জ জেলায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। গ্রামবাসীদের নিয়ে যাচ্ছিল একটি ট্রাক্টর-ট্রলি। সেটা পুকুরে পড়ে যায়। তার জেরে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। মাঘী পূর্ণিমা উপলক্ষে পুণ্যস্নানের জন্য গঙ্গার পথে রওনা হয়েছিলেন তাঁরা। আর তখনই ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
এদিকে দুর্ঘটনার পরে পুকুরে পড়ে গিয়েছিলেন অনেকে। আর তাঁদের উদ্ধার করতে গিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা উদ্ধারকারীদের। অভিষেক পান্ডে নামে এক উদ্ধারকারী হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, কাদার মধ্য়ে দেহগুলি পুঁতে গিয়েছিল। সেগুলি যেন মনে হচ্ছিল পাথর। জল অনেকটা গভীর। সারা শরীর দিয়ে মনে হচ্ছিল যে ঠান্ডা স্রোত বইছে। তবুও হাত ধরাধরি করে উদ্ধার করি।
স্থানীয় একটি ইটভাটাতে কাজ করছিলেন প্রবীন কুমার নামে এক যুবক। পুলিশ তাদের জেসিবি নিয়ে আসতে বলে। আরও লোকজন আসে। তিনি জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার খবর জেনেই পুকুরে ঝাঁপ দিই। একে একে ১৩টি দেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি জানিয়েছেন দেহ উদ্ধার করার পরে ভাত খেতে পারিনি। দুধের বোতল পড়েছিল। খুব কষ্ট লাগছিল দেখে। স্থানীয় পুলিশও উদ্ধারে সহযোগিতা করে। একেবারে হাড়হিম করা ঘটনা।
কীভাবে দুর্ঘটনাটি হল?
আলিগড় রেঞ্জের আইজি শলভ মাথুর জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় আট শিশু ও সাত মহিলা সহ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মাথুর জানিয়েছেন, রাস্তায় একটি গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন ট্রাক্টরের চালক।
এদিকে গ্রামবাসীদের বহনকারী ট্রাক্টর ট্রলিটি কাদা বোঝাই জলে ভরা পুকুরে উল্টে যায়।জখমদের দ্রুত কাসগঞ্জের জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।