Smile Surgery: ইচ্ছা ছিল বিয়ের সময়ে মিষ্টি একটা হাসির! সেই স্বপ্নই কেড়ে নিল যুবকের প্রাণ

একটা মিষ্টি হাসি! এটুকু পাওয়ার লক্ষ্য ছিল ২৮ বছরের যুবকের। ইচ্ছা ছিল, বিয়ের সময়ে তাঁর হাসি দেখে সকলে মুগ্ধ হবেন। আর এই ইচ্ছাই কেড়ে নিল প্রাণ। বিয়ের আগেই প্রাণ হারালেন যুবক। 

(আরও পড়ুন: বড়লোক দেখানোর জন্য বডিগার্ড রাখলেন যুবক, দিনে গচ্চা ১৭ হাজার টাকা!)

(আরও পড়ুন: ছবিতে কয়টি ৮ দেখতে পাচ্ছেন? ৫ সেকেন্ডে চাই জবাব! রইল অপটিক্যাল ইলিউশনের চ্যালেঞ্জ)

ঘটনাটি কী ঘটেছে?

হায়দরাবাদের যুবক লক্ষ্মী নারায়ণ ভিঞ্জাম। চলতি মাসেই তাঁর বিয়ের কথা ছিল। বিয়ের সময়ে তাঁকে যেন ভালো দেখতে লাগে— এমন ইচ্ছা সকলেরই থাকে। ব্যতিক্রম ছিলেন না লক্ষ্মী নারায়ণ ভিঞ্জামও। তাই তিনি গিয়েছিলেন জুবিলি হিলসের এফএমএস ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল ক্লিনিকে। উদ্দেশ্য ছিল স্মাইল ডিজাইন সার্জারি। 

(আরও পড়ুন: ‘ভুল করে’ ২৮০০ কোটি টাকার লটারি জিতলেন ব্যক্তি! মামলা দায়ের কোম্পানির বিরুদ্ধে)

(আরও পড়ুন: অর্ডার করলেই উড়ে আসছে কফি, ওয়েটার ছাড়াই ধরা দিচ্ছে হাতে! ঘটনায় তাজ্জব শহর)

কী এই সার্জারি?

একটি কসমেটিক ট্রিটমেন্ট। অনেকেরই ‘স্মাইল সার্জারি’ করানো হয়, যাতে তাঁদের হাসি আরও সুন্দর দেখায়। দাঁত পরিষ্কারের জন্যও এই সার্জারি করা হয়। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যে সব দাঁত আলগা এবং হলুদ হয়ে যায়, এমন দাঁত এই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চকচকে করা হয়। তেমনই কিছু করাতে গিয়েছিলেন লক্ষ্মী নারায়ণ ভিঞ্জাম। 

(আরও পড়ুন: জিমেল নাকি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে? অনেকেই বলছেন এই কথা, গুগল জানাল নিজেদের সিদ্ধান্ত)

(আরও পড়ুন: লুকিয়ে স্ত্রী আর তাঁর বসের কথা শুনতেন স্বামী, সেখান থেকেই আয় হল ২৩ কোটি)

ঠিক কী হয়েছিল তাঁর সঙ্গে?

লক্ষ্মী নারায়ণ ভিঞ্জামের বাবা রামুলু ভিঞ্জাম অভিযোগ করেছেন, অস্ত্রোপচারের সময় তাঁর ছেলেকে অজ্ঞান করার জন্য অ্যানাসথেসিয়া দেওয়া হয়েছিল। আর তার ওভারডোজের কারণেই মৃত্যু হয়েছে লক্ষ্মী লারায়ণের। রামুলু ভিঞ্জামের দাবি, ‘ক্লিনিকের কর্মীরা যখন দেখেন লক্ষ্মী নারায়ণের জ্ঞান ফিরছে না, তখন বাড়িতে খবর দেয়। আমাকে ক্লিনিকে যেতে বলে।’ রামুলু জানিয়েছেন, এর পরে তাঁর ছেলেকে কাছাকাছির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। রামুলু ভিঞ্জাম আরও বলেন, তাঁর ছেলে অস্ত্রোপচারের কথা কাউকে জানাননি। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানোর পর ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁরা হাসপাতালের রেকর্ড ও নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করছেন।