Byju’s Latest Update: বাইজুস থেকে ছাঁটাই হলেন রবীন্দ্রন? জল্পনার মাঝে মুখ খুললেন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা

শুক্রবারই অনুষ্ঠিত হয়েছিল বাইজুসের বিনিয়োগকারীদের ‘এক্সট্রাঅর্ডিনারি জেনারেল মিটিং’। সেই বৈঠকে বাইজু রবীন্দ্রন এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের সংস্থার উঁচু পদ থেকে ছাঁটাই করার পক্ষে ভোট দেন বিনিয়োগকারীরা। তবে এই নিয়ে এবার সংস্থার কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন রবীন্দ্রন নিজে। তিনি দাবি করলেন, তাঁর ছাঁটাইয়ের খবর পুরোপুরি ভুয়ো এবং ভিত্তিহীন। এদিকে বাইজুসের তরফ থেকে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, সংস্থার প্রতিষ্ঠাতার অনুপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ইজিএম অবৈধ এবং অকার্যকরী। (আরও পড়ুন: কপাল পুড়বে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের? চাকরির ক্যাম্পাসিং নিয়ে বড় বার্তা TCS-এর)

আরও পড়ুন: ব্যাটারি থেকে লাগল আগুন, নিউইয়র্কের ফ্ল্যাটে মৃত্যু হল ভারতীয় সাংবাদিকের

উল্লেখ্য, এর আগে কর্ণাটক হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছিল, আগামী শুনানি পর্যন্ত বাইজুসর সেই ‘ইজিএম’-এ নেওয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য হবে না এবং তা কার্যকর করা যাবে না। এদিকে উচ্চ আদালতের এই নির্দেশেও দমে যাননি বিনিয়োগকারীরা। রবীন্দ্রন বিরোধী বিনিয়োগকারীদের বক্তব্য, আদালত ইজিএম না করার নির্দেশ দেয়নি, বা এটাও বলেনি যে এই ইজিএম বেআইনি। এই আবহে ২৩ ফেব্রুয়ারি এই ইজিএম হয়েছিল। তবে তাতে যোগ দেননি রবীন্দ্রন। এই সবের মাঝেই সংস্থার চার বিনিয়োগকারী এনসিএলটি-তে মামলা করে রবীন্দ্রনকে বাইজুস থেকে সরানোর আবেদন করা হয়েছে। তবে এত কিছুর মাঝেও সংস্থায় নিজের পদ ছাড়তে নারাজ বাইজু রবীন্দ্রন।

উল্লেখ্য, সংস্থার অন্তত ৬ জন শেয়ারহোল্ডর বাইজুকে সংস্থা থেকে ছাঁটাইয়ের প্রস্তাব পেশ করেছিলেন আগেই। এই আবহে ২৩ ফেব্রুয়ারি ডাকা হয়েছিল ইজিএম। এর আগে সংস্থার সাধারণ সভায় প্রস্তাব করা হয়েছিল, শুধু বাইজু নয়, সংস্থার প্রতিষ্ঠাকাল থেকে যে সব কর্তা উচ্চ পদে আছেন, তাঁদের সবাইকে ছাঁটাই করা হোক। পাশাপাশি বোর্ড অফ ডিরেক্টরকেও ঢেলে সাজানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ২৩ ফেব্রুয়ারির ইজিএম-এ এই সব প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন বিনিয়োগকারীরা।

কিন্তু বিনিয়োগকারীদের তৎপরতার মাঝেই রবীন্দ্রনের বক্তব্য, ২৩ ফেব্রুয়ারির ইজিএম-এ অনেক নিয়মই মানা হয়নি। এই আবহে এই বৈঠকে যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়ে থাকুক, তা বৈধ নয়। কর্মীদের উদ্দেশে এক নোটে রবীন্দ্রন লেখেন, ‘আমি আপনাদের সংস্থার সিইও হিসেবে এটা লিখছি। মিডিয়াতে যাই বলা হয়ে থাকুক না কেন, আমিই এখনও সংস্থার সিইও আছি। সংস্থার ম্যানেজমেন্টও অপরিবর্তিত রয়েছে। তাই আগে যেমন ভাবে কাজ চলছিল, এখনও সেভাবেই চলতে থাকবে। আমার ছাঁটাইয়ের যে খবর প্রকাশ করা হয়েছে তা বাড়িয়েচাড়িয়ে বলা হয়েছে এবং তা ভিত্তিহীন ভুয়ো। এই ধরনের মিটিংয়ে যখনও কোনও প্রস্তাবনা পাশ করাতে হয়, তার জন্য নির্দিষ্ট কোরাম থাকা দরকার। অর্থাৎ, নির্দিষ্ট কিছু মানুষকে এই বৈঠকে থাকতেই হবে বলে বলা আছে আমাদের সংস্থার ধারায়। নিয়ম অনুযায়ী, অন্তত একজন প্রতিষ্ঠাতা ডিরেক্টরকে থাকতে হবে বৈঠকে। তবে ২৩ ফেব্রুয়ারির বৈঠকে এমন কেউ ছিলেন না। তাই আইনত এই ইজিএম-এ নেওয়া সিদ্ধান্ত বৈধ নয়। ১৭০ জন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মাত্র ৩৫ জন আমাকে সরানোর পক্ষে ভোট দিয়েছে।’