Swasthya Bhawan survey: স্বাস্থ্য ভবনের সমীক্ষায় কলকাতাকে টপকে পরিষেবায় এগিয়ে জেলার হাসপাতাল

স্বাস্থ্য দফতরের সমীক্ষা বলছে রোগী পরিষেবায় এগিয়ে জেলার হাসপাতালগুলি। শহর কলকাতার হাসপাতালগুলিতে সুষ্ঠ পরিষেবা পাওয়া নয়ে সাধারণ মানুষের নানা অভিযোগ রয়েছে। হাসপাতালের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের উপর সমীক্ষা চালিয়ে স্বাস্থ্যভবন এই সিদ্ধান্তে এসেছে। তবে আধিকারিকদের দুশ্চিন্তার ভাঁজ কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজকে নিয়ে। 

সমীক্ষায় সেরা হাসপাতালগুলি

সমীক্ষার সেরা হাসপাতালগুলির তালিকায় রয়েছে বাঁকুড়া সম্মিলনী, পিজি, মালদা, বারাসত এবং জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। অর্থাৎ সেরা পাঁচটি হাসপাতালের মধ্যে চারটি জেলার। এছাড়া জেলা হাসপাতালগুলির মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে টালিগঞ্জের এমআরবাঙুর তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা হাসপাতাল।

পিছিয়ে পড়া মেডিকেল কলেজ

স্বাস্থ্য দফতরের সমীক্ষা অনুযায়ী পরিষেবার দিক থেকে পিছিয়ে পড়া পাঁচটি হাসপাতাল হল, উত্তরবঙ্গ মেডিকেল, রামপুরহাট, রায়গঞ্জ, কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ এবং মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।

আরও পড়ুন। বান্ধবীকে ‘বিয়ে’ করেছিলেন কোন্নগরে সন্তান খুনে অভিযুক্ত মা, আগ্রাতে হানিমুন!

আরও পড়ুন। বিয়ে হচ্ছিল না এলাকার ছেলেদের! ঘটকালির পথ সুগম করলেন বিধায়ক, ২ কোটি টাকা দিলেন ‘দিদি’

কীসের ভিত্তিতে সমীক্ষা

নির্দিষ্ট কতগুলি ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। সেগুলি হল, চিকিৎসক সারা মাসে কত রোগী দেখছেন, কতগুলি অস্ত্রোপচার করছেন, প্রসবকালে কতজন মা এবং প্রসবের পর কতজন শিশুর মৃত্যু হচ্ছে, কত রোগী রেফার হচ্ছেন, ক’জন চিকিৎসক স্বেচ্ছায় ছুটি নিয়ে চলে যাচ্ছেন, কোন হাসপাতালে ক’টি এক্স-রে-ইউএসজি হচ্ছে, কত রোগী ভর্তি থাকছে- এমন 20টি সূচকের (কি পারফরম্যান্স ইন্ডিকেটর) ভিত্তিতে বিচার করে পারফরম্যান্স রিপোর্ট তৈরি করেছে রাজ্য।

জানা গিয়েছে, ইন্ডিয়ান পাবলিক হেল্থ স্ট্যান্ডার্স অনুযায়ী প্রত্যেক সার্জেনের সপ্তাহে অন্তত ৬টি বড় অস্ত্রোপচার করার কথা, সেক্ষেত্রে মাসে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ২৪। অস্ত্রোপচারের সংখ্যায় এগিয়ে গিয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ। সেখানে সার্জেন প্রতি ৭৬টি বড় অস্ত্রোপচার হচ্ছে। সেরা হাসপাতালের তালিকায় থাকলেও পিজিতে ৪৬, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ৪৭ এবং বাঁকুড়ায় ৪৮টি অস্ত্রোপচার হচ্ছে।

আউটডোরে রোগী দেখার ক্ষেত্রেও কলকাতাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে জেলার হাসপাতালগুলি। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ২ হাজার ২২১, বারাসত ২ হাজার ১০০, পিজিতে ১ হাজার ২০০ জন রোগী দেখেছে প্রতি মাসে। তবে আউটডোরে রোগী দেখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ। সেখানে একেকজন চিকিৎসক মাসে প্রায় ২ হাজার ৫০০ জন রোগী দেখছেন।