Firoz Marchent: UAEর জেলবন্দি ৯০০ ভারতীয়ের মুক্তির জন্য ২.২৫ কোটি টাকা অনুদান ভারতীয় ব্যবসায়ীর! কে এই গোল্ড ব্যারন?

আরব আমিরশাহির জেলে বন্দি হয়ে আটকে পড়ে, দেশে ফিরতে পারছেন না বহু ভারতীয়। দেশে ফেরার তাঁদের প্রবল চেষ্টার মাঝে এবার আমিরশাহির জেলে বন্দি ৯০০ ভারতীয় পাশে পেলেন সেদেশের আরও এক ভারতীয়কে। দুবাইয়ের বাসিন্দা ভারতীয় বংশোদ্ভূত ফিরোজ মার্চেন্ট ৯০০ জন ভারতীয়কে সেদেশের জেল থেকে মুক্তি দিয়ে দেশের ফেরানোর জন্য অনুদান দিয়েছেন ২.২৫ কোটি টাকা।

কে ফিরোজ মার্চেন্ট?

‘পিয়োর গোল্ড জুয়েলার্স’ এর মালিক ফিরোজ মার্চেন্ট। তাঁর কর্মক্ষেত্র দুবাই। ৬৬ বছয় বয়সী এই ব্যবসায়ীর টার্গেট এই বছর দুবাই থেকে ৩ হাজার ভারতীয়কে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে দেশে পাঠানো। আর সেই লক্ষ্যেই তিনি শুরু করেছেন তাঁর উদ্যোগ। পবিত্র রমজান মাসের আগে, ১ মিলিয়ন ডারহাম বা ২.২৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়ে আমিরশাহির জেলে বন্দি ৯০০ জনকে মুক্তির চেষ্টায় শামিল হয়েছেন তিনি।

ফিরোজ মার্চেন্টের অফিস একটি প্রেস বিবৃতিতে বলছে, আরব দেশের বিভিন্ন জেলে বন্দি ভারতীয়রা যাতে মুক্তি পান, তার চেষ্টায় ফিরেজ মার্চেন্ট এই ২.২৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। ২০২৪ সালের শুরুতে আপাতত ৯০০ জনকে মুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই ৯০০ জনের মধ্যে রয়েছেন আরবের আজমন জেলে বন্দি ৪৯৫ জন ভারতীয়, ফুজাইরাহতে বন্দি ১৭০ জন ভারতীয়, ১২১ জন রয়েছেন দুবাইয়ের জেলে, ৬৯ জন উম আল কোয়াইন জেলে, রাস আল খাইমার জেলে বন্দি ২৯ জন। 

কীভাবে চলছে সাহায্য?

আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, ফিরোজ মার্চেন্টের উদ্দেশ্য হল ২০২৪ সালে আমিরশাহির জেলে বন্দি ৩ হাজার ভারতীয়ের মুক্তি। শুধু মুক্তিই নয়। ভারতীয়দের জেল  থেকে বের করে তাঁদের দেশে ফেরার টিকিটও কেটে দিয়েছেন ফিরোজ মার্চেন্ট। যাতে দেশে ফিরে ওই ভারতীয়রা তাঁদের পরিবারের সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করতে পারে, তার চেষ্টায় রয়েছেন ফিরোজ মার্চেন্ট। এদিকে, আমিরশাহিতে বহু ভারতীয় জেলবন্দি ঋণের বোঝায় রয়েছেন। সেই ভারতীয়দের ঋণও চুকিয়ে দেওয়ার কাজ করে চলেছেন ফিরোজ মার্চেন্ট। 

গত কয়েক বছরে ফিরোজ মার্চেন্ট ২০ হাজার ভারতীয়কে দেশে পাঠিয়েছেন। যে ভারতীয়রা আমিরশাহির জেলে ছিলেন বন্দি। এজন্য তিনি আমিরশাহির সরকার ও পুলিশকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। তিনি বলছেন, ‘সরকারের সাথে সহযোগিতার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। দ্য ফরগটেন সোসাইটি বিশ্বাস করে যে মানবতা কোন সীমানা জানে না, এবং আমরা এই ব্যক্তিদের তাঁদের পরিবার এবং সম্প্রদায়ের সাথে মিলনের সুযোগ দেওয়ার জন্য একসাথে কাজ করি।’