কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে এসে মঙ্গলবার রাজ্য সরকারকে নানা ইস্যুতে বিঁধেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তার মধ্যে যেমন ছিল সন্দশেখালি তেমনি ১০০ দিনের কাজের ভুয়ো জব কার্ড প্রসঙ্গ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর এই আক্রমণের পাল্টা জবাব দিলেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদকের কথায়, রাজ্যে এসে নির্মলা সীতারমন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নয় বিজেপি নেতার মতো আচারণ করছেন।
কুণাল বলেন, ‘১০০ দিনের কাজে রাজ্যে সেরা শিরোপা দিয়েছে কেন্দ্র, অথচ ভুয়ো জব কার্ডের প্রসঙ্গ তুলে বকেয়া টাকা আটকে রেখেছে। কেন্দ্রেরই তালিকায় দেখা যাচ্ছে ভুয়ো জব কার্ডের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ডবল ইঞ্জিন সরকার পরিচালিত রাজ্যগুলি। সেখানে কোনও তদন্তকারী দল যাচ্ছে না। নিয়মিত তাদের টাকা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি বলেন এ সব করা হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে।’
প্রধানমন্ত্রী মোদীর ‘বিকশিত ভারত’ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া ভাবনা নিয়ে ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে ‘খোলা হাওয়া’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার যোগ দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সেখানে রাজ্য সরকারে বিরুদ্ধে একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনা, মিড ডে মিলের মতো একাধিক প্রকল্পে দুর্নীতির পুরনো অভিযোগগুলি একের পরে এক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র ও রাজ্য যৌথ কমিটির তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১৫ কোটি ভুয়ো মিড মিলের বিল জমা দেওয়া হয়েছে। টাকার অঙ্কে তা ১০০ কোটি টাকা।’
আরও পড়ুন: সন্দেশখালি নিয়ে তৃণমূলকে মণিপুর মনে করালেন নির্মলা, পাল্টা জবাব দিল দল
আরও পড়ুন: ১০০ দিনের বকেয়া মেটাচ্ছে রাজ্য, জনগণকে চিঠি লিখলেন মমতা
টাকা আটকে রাখা প্রসঙ্গে বলেন,’২৫ লক্ষ ভুয়ো নাম জব কার্ড বানানো হয়েছে। রাজ্য সরকারের কাজ ছিল, ভুয়ো জব কার্ডের জন্য যেসব টাকা খরচ হয়েছে তা ফিরিয়ে আনার এবং সঠিক মানুষকে সেই টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার। এ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে রাজ্য বলছে তা অসম্ভব।’
সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, একশ দিনের বকেয়া টাকা তারাই ফেরত দেবে। সেই মতো টাকা ফেরতে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এর সমালোচনা করে বলেন, ‘এতো সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দেওয়া। এর আগে রাজকোষ থেকে দেওয়া থাকা ফেরত না ফের একবার টাকা দেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন। ‘কড়া ব্যবস্থা নিন,’ সন্দেশখালি নিয়ে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি মমতাকে