Tripura News: দিল্লি থেকে এল ফোন, অনশন মঞ্চ ছাড়লেন তিপ্রা মোথার কর্ণধার, খালি পেটেই হবে আলোচনা

প্রিয়াঙ্কা দেববর্মন

তিপ্রা (তিপ্রা আদিবাসী প্রগতিশীল আঞ্চলিক জোট) মোথা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মা বুধবার নয়াদিল্লি থেকে একটি ফোন কল পাওয়ার পরে সাময়িকভাবে অনশন স্থগিত করেছেন।

আগরতলা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে হাতাই কোটোরে অনশনের ঘণ্টাখানেক পরেই ফোনে বিশেষ বার্তা  আসে।

দেববর্মা নেতৃত্বে তিপ্রা মোথা এতদিন আদিবাসীদের অনুন্নয়নের অভিযোগ তুলে আদিবাসীদের জন্য পৃথক রাজ্যের দাবি জানিয়ে আসছে। 

 তিনি জানিয়ে দেন, দিল্লি থেকে ফোন এসেছে। আমাকে দিল্লি যেতে হবে, বিক্ষোভস্থলে জড়ো হওয়া সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন তিনি।

 

তিনি তাঁর দলের নেতাদের মঞ্চে ফিরে যেতে বলেছিলেন এবং তাঁর সমর্থকদের বাড়ি ফিরে যেতে বলেন এবং বলেছিলেন যে তিনি তাঁর অনশন চালিয়ে যাবেন এবং কেন্দ্রের কাছ থেকে লিখিত আশ্বাস পাওয়ার পরেই তিনি কেবলমাত্র এই অনশন প্রত্যাহার করবেন।

দিল্লি গিয়ে ওদের সঙ্গে খালি পেটে কথা বলব। যতক্ষণ না সেখান থেকে (কেন্দ্রীয় সরকার) ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি ততক্ষণ আমি কিছু খাব না।জানিয়েছেন তিনি। 

তিনি তাঁর সমর্থকদের তাড়াতাড়ি উদযাপন না করতে বলেছিলেন এবং দিল্লি থেকে উত্তর না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছিলেন।

তিনি বলেন, ‘এখন উৎসব করো না। অপেক্ষা করা। নিজেকে হালকাভাবে নেবেন না। আমি দিল্লি যাব। আমি কথা বলব। কিন্তু আমি আপোস করব না, বলেছিলেন দেববর্মা।

দিল্লি থেকে কে তাঁকে ফোন করেছিল সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিকরা তাঁকে ডেকেছিলেন।

ত্রিপুরা উপজাতি অঞ্চল স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ (টিটিএএডিসি) এবং অন্যান্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য যেমন আসাম, মিজোরাম এবং প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের কিছু অংশে বসবাসকারী উপজাতিদের জন্য একটি পৃথক রাজ্য বৃহত্তর তিপ্রাল্যান্ড গঠনের এজেন্ডা নিয়ে ২০২১ সালে টিপরা গঠিত হয়েছিল।

গঠনের কয়েক মাসের মধ্যেই তিপ্রা মোথা টিটিএএডিসি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করে।

পাঁচ মাস আগে ৬০ আসনের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৩টি আসন পেয়ে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আবির্ভূত হয় দলটি।

তবে শেষ পর্যন্ত তিপ্রা মোথার সঙ্গে দিল্লির প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর কথা কতদূর এগোয় সেটাই দেখার। 

সূত্রের খবর, সকাল ১১টা নাগাদ বিক্ষোভ স্থলে এসেছিলেন তিনি। এরপরই ক্ষত্রিয় সমাজ যে পুজোর আয়োজন করেছিল তাতে তিনি অংশ নেন। বক্তব্য রাখার সময় বিরোধীনেতা অনিমেষ দেববর্মা তাঁকে ফোনটি এগিয়ে দেন। সেই ফোনে কথা বলার পরেই তিনি জানিয়ে দেন, দিল্লি থেকে ফোন এসেছিল। আমায় যেতে হবে।