Mamata in Bankura: নন্দীগ্রামের সঙ্গে তুলনা করবেন না, সন্দেশখালির নাম না করে বাঁকুড়ায় বললেন মমতা

সন্দেশখালির আন্দোলনকে নন্দীগ্রামের আন্দোলনের সঙ্গে তুলনা করেছে বিজেপি। এর আগে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ নন্দীগ্রামের সঙ্গে কেন পার্থক্য সন্দেশখালির আন্দোলনের তা ব্যাখ্যা করেছিলেন। এবার খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে সন্দেশখালির আন্দোলনের সঙ্গে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের আন্দোলনের প্রার্থক্য রয়েছে তা জানিয়ে দিলেন।

বুধবার বাঁকুড়ার খাতড়ার সরকারি পরিষেবা প্রদান কর্মসূচির মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, ‘সিঙ্গুর-সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম-নন্দীগ্রাম, খাতড়া-খাতড়া। একটার সঙ্গে আর একটার তুলনা করবেন না।’ পাশাপাশি তাঁর পরামর্শ, ‘ ভুল করে নিজেরা দাঙ্গায় জড়িয়ে পড়বেন না। কোথাও রক্ত ঝরুক, অত্যাচার হোক, এ চাই না আমি। যারা বড় বড় কথা বলছে, খুলব তাদের ভাণ্ডার? অনেক কিছু জমা আছে। আস্তে আস্তে যখন খুলব, দেখবেন, কোনটা ঠিক, কোনটা ভুল।

প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির আন্দোলন শুরু হওয়ার পর,নন্দীগ্রামের সঙ্গে তার কিসে কিসে মিল অমিল তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে।

আরও পড়ুন। অ্যালকেমিস্ট চিটফান্ড দুর্নীতিতে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে তলব করল ED

এই পরিস্থিতিতে শাসকদলের বক্তব্য, ২০০৭ সালের গোড়া থেকে নন্দীগ্রাম হয়ে গিয়েছিল বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। সেখানে পুলিশ-প্রশাসন ঢুকতে পারত না। তার পরে সেই বছর ১৪ মার্চ যখন পুলিশ তেখালি ব্রিজ পেরিয়ে নন্দীগ্রামে প্রবেশ করেছিল, সে দিন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ১৪ জন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়। যদিও সন্দেশখালিতে এখনও তেমন কিছু হয়নি। সেখানে মানুষের ক্ষোভ আছে ঠিকই। কিন্তু পুলিশ ঢুকতে পারছে। যাচ্ছেন শাসকদলের নেতা এবং রাজ্যের মন্ত্রীরাও। প্রশাসনের বাধা সত্ত্বেও বিরোধী দলগুলি সন্দেশখালিতে প্রবেশ করতে। তাছাড়া এখনও পর্যন্ত কোনও প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেনি। এখানে সরকার কারও জমি কেড়ে নেয়নি। ক্ষোভের আগুন ব্যক্তির অত্যাচরের বিরুদ্ধে। তাই সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের আন্দোলনের সঙ্গে এর তুলান উঠিত নয় বলেই মনে করে শাসকদল।

আরও পড়ুন। ১৪৪ ধারায় স্থগিতাদেশ জারি করে শুভেন্দুকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দিল হাইকোর্ট

বকেয়া টাকা নিয়েও সরব

রাজ্যের বকেয়া টাকা নিয়েও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এদিন সরব হন মমতা। তিনি বলেন, ‘৫৯ লক্ষ মানুষকে কাজ করিয়ে নিয়ে পয়সা দেয়নি কেন্দ্র। দরিদ্র মানুষদের বঞ্চিত করেছে। কাউকে পাগড়ি পরতে দেখলে বলছে খালিস্তানি। আমাদের অনুকরণ করে পরিবারের একজনকে এখন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেওয়ার কথা বলছে বিজেপি। বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুরে দু’টি আসনে জিতে তারা কী কাজ করেছে?’