Railways strike over pension scheme: ‘১ মে থেকে দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে’, পেনশনের দাবিপূরণে হুংকার রেলকর্মীদের

অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে নয়া পেনশন প্রকল্প (এনপিএস)। চালু করতে হবে পুরনো পেনশন স্কিম (ওপিএস)। নাহলে আগামী ১ মে (আন্তর্জাতিক শ্রম দিবস) থেকে দেশজুড়ে রেল পরিষেবা পুরোপুরি স্তব্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিল একাধিক কর্মী সংগঠন। ওই সংগঠনগুলির তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে পুরনো পেনশন স্কিম চালু না হলে ১ মে থেকে দেশজুড়ে ধর্মঘট শুরু করা হবে। কাজ করবেন না রেলকর্মীরা। তার ফলে দেশজুড়ে রেল পরিষেবা থমকে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে একাধিক কর্মী সংগঠন। যদিও বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে রেল মন্ত্রক বা কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

এমনিতে এখন যে নয়া পেনশন প্রকল্প চালু আছে, সেটা প্রত্যাহার করে নিয়ে পুরনো পেনশন স্কিম চালু করার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই একটি মহল থেকে দাবি উঠছে। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের একাংশ যেমন সেই দাবি তুলেছেন, তেমনই বিভিন্ন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরাও পুরনো পেনশন স্কিম ফিরিয়ে আনার পক্ষে সওয়াল করেছেন। আর সেই তালিকায় রেলের একাধিক কর্মী সংগঠনের নামও যুক্ত হয়েছে। শুধু তাই নয়, পুরো রেল পরিষেবা থমকে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে রেলকর্মীদের একাধিক ইউনিয়ন।

‘জয়েন্ট ফোরাম অফ রেস্টোরেশন অফ ওল্ড পেনশন স্কিম’-র (রেলকর্মীদের একাধিক ইউনিয়ন মিলিয়ে একটি মূল সংগঠন) আহ্বায়ক শিবগোপাল মিশ্র বলেন, ‘নয়া পেনশন স্কিম তুলে দিয়ে ভরসাযোগ্য পুরনো পেনশন প্রকল্প ফিরিয়ে আনার যে দাবি তুলেছি আমরা, তা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি সরকার। সেই পরিস্থিতিতে সরাসরি পদক্ষেপ করা ছাড়া আমাদের হাতে আর কোনও বিকল্প পড়ে নেই।’ সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, রেলকর্মীদের সংগঠন ছাড়াও অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের ইউনিয়নও ‘জয়েন্ট ফোরাম অফ রেস্টোরেশন অফ ওল্ড পেনশন স্কিম’-র ছাতায় তলায় আছে। সেইসব সংগঠনের কর্মচারীরাও ধর্মঘটে নামবেন।

আরও পড়ুন: Local trains cancelled in Sealdah: শিয়ালদা লাইনে ১৬৪ লোকাল ট্রেন বাতিল স্রেফ শনিবারই! কোনগুলি? রইল সম্পূর্ণ তালিকা

ওই যৌথ সংগঠনের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘উপযুক্ত উপায়ে যাতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে ধর্মঘট নিয়ে নোটিশ জমা দেওয়া যায়, সেজন্য সমস্ত সংগঠনকে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলার আবেদন জানানো হচ্ছে।’ সেইসঙ্গে যৌথ সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে যে কর্মীদের স্বার্থেই পুরনো পেনশন স্কিম ফিরিয়ে আনার দাবি তোলা হচ্ছে। নয়া পেনশন প্রকল্পে কর্মচারীদের স্বার্থ সুরক্ষিত হয় না বলে ‘জয়েন্ট ফোরাম অফ রেস্টোরেশন অফ ওল্ড পেনশন স্কিম’-র তরফে দাবি করা হয়েছে।

রেলকর্মীদের বিভিন্ন সংগঠনের তরফে সেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হলেও অতীতে একাধিকবার কেন্দ্রের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে পুরনো পেনশন স্কিম ফিরিয়ে আনা হবে না। বরং যে নয়া পেনশন স্কিম চালু আছে, তাতেই যাতে কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা আরও বৃদ্ধি পায়, সেজন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে। একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। 

পুরনো এবং নয়া পেনশন স্কিমের মধ্যে পার্থক্যটা কী? 

২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চালু হওয়া নয়া পেনশন স্কিমের ক্ষেত্রে পুরো বাজারের উপর নির্ভর করে থাকে। ফলে অবসরের পরে কতটা মিলবে, তা বাজারের মাধ্যমেই নির্ধারিত হয়। অন্যদিকে, পুরনো পেনশন স্কিমে ৫০ শতাংশ অর্থ পাওয়া যায়। সেটাই নির্ধারিত করা আছে। বেশিও হয় না, কমও হয় না। সরকারি কর্মচারীদের একাংশের দাবি, নয়া পেনশন স্কিম হল ঝুঁকিপূর্ণ। আর পুরনো পেনশন প্রকল্প হল ঝুঁকিহীন।

আরও পড়ুন: Old Pension Scheme: প্রথমে লাভের মনে হবে, পরে পুরনো পেনশন স্কিমে কপাল পুড়বে, দাবি RBI-র প্রতিবেদনে