অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও মেলেনি ছুটি, আত্মহত্যার চেষ্টা বাঁকুড়ার স্বাস্থ্যকর্মীর

শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও মঞ্জুর হয়নি ছুটি। তার ওপর অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগে ছুটির দাবিতে মেডিক্যাল আধিকারিকের অফিসের সামনেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক স্বাস্থ্যকর্মী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার কোতুলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। সব্যসাচী বিশ্বাস নামে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মী শুক্রবার বিষ খেয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করেন। তৎপরতার সঙ্গে তার চিকিৎসা শুরু করা হলে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়। জানা গিয়েছে, হাসপাতালের ব্লক মেডিক্যাল আধিকারিকের অফিসের সামনে তিনি বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য অধিকারিকের দাবি, পুরোপুরি ফিট রয়েছেন ওই স্বাস্থ্যকর্মী।

আরও পড়ুন: রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ব্যারাকে চলল গুলি, পুলিশকর্মীর কি আত্মহত্যার চেষ্টা?

জানা গিয়েছে, কোতুলপুর গ্রামীণ হাসপাতাল দীর্ঘদিন ধরে চতুর্থ শ্রেণিতে কর্মরত রয়েছেন সব্যসাচী। তবে তার দাবি, তিনি শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। সেই কারণে তিনি ছুটি চেয়েছিলেন। পাশাপাশি হালকা কাজ চেয়েছিলেন। এর জন্য বিএমওএইচের কাছে তিনি আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু, তার আবেদন মঞ্জুর হয়নি। উলটে তাকে বিষ্ণুপুরে বদলি করা হয়। তার প্রতিবাদে এদিন তিনি বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে জানান। তবে বিএমএইচও দেবাঞ্জন ঘোষ স্বাস্থ্যকর্মীর শারীরিক অসুস্থতার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। তার বক্তব্য, ওই স্বাস্থ্যকর্মী রাতে ডিউটি করতে অনিচ্ছুক ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতা দাবি করে তিনি হালকা ডিউটি চাইছিলেন। তার আবেদনের পরেই বিষয়টি জেলা স্বাস্থ্য দফতরে জানানো হয়েছিল। এরপর তার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা যায় তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন। এরপর জেলা স্বাস্থ্য দফতর তাকে বিষ্ণুপুরে বদলি করে।

বিএমওইচ জানান, বর্তমানে স্বাস্থ্যকর্মী সুস্থ রয়েছেন। এ বিষয়টি জেলাস্বাস্থ্য দফতরে জানানো হয়েছে। মেডিক্যাল টিমও ওই স্বাস্থ্যকর্মীর শারীরিক অসুস্থতার কথা অস্বীকার করেছে। তাদের বক্তব্য, ওই কর্মী পুরোপুরি সুস্থ রয়েছেন। বদলি করার পরেও তিনি কোতুলপুর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বিষ্ণুপুরে যোগ দেননি। উলটে তিনি বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

স্বাস্থ্যকর্মী জানান, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তার ভারি কাজে অসুবিধা হচ্ছে। সেই কারণে তিনি হালকা কাজ চেয়েছিলেন। তাছাড়া ছুটিও চেয়েছিলেন। কিন্তু আবেদন গ্রাহ্য না হওয়ার জন্য তিনি এমন পদক্ষেপ করেছেন। বর্তমানে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মী। তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।