স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগৎ সিংয়ের আত্মীয় ৫ বছর আটকে ছিলেন কানাডায়, কারণটা কী? অবশেষে ফিরলেন দেশে

করণবীর সিং সান্ধু। বয়স ২৪ বছর। আসল বাড়ি উত্তরাখণ্ডের উধম সিং নগর জেলায়। কানাডা গিয়ে তিনি তাঁর নথিপত্র হারিয়ে ফেলেছিলেন। এরপর সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অবশেষে বাড়ি ফিরলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে কার্যত তিনি দেশে ফিরতে পারছিলেন না। 

তবে ওই যুবকের আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি হলেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী শহিদ ভগৎ সিংয়ের ভাই রাজেন্দ্র সিংয়ের নাতির ছেলে। এদিকে সেই করণবীরের বাড়ি ফেরার জন্য তৎপরতা দেখিয়েছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি গুঞ্জন সুখিজা। অবশেষে কানাডা সরকার তাঁর বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করেন। তাঁর জন্য় অস্থায়ীভাবে পাসপোর্টেরও ব্যবস্থা করা হয়। সেই পাসপোর্ট নিয়ে অবশেষে ফিরলেন করণবীর। 

সূত্রের খবর, ওই যুবক ২০১৮ সালে কানাডায় গিয়েছিলেন। উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি কানাডায় গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পরে ঘটনাচক্রে তিনি আধার কার্ড ও পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলেছিলেন। এদিকে গত কয়েকবছর ধরেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য পরিবারের তরফে নানা চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও তাঁর খোঁজ মেলেনি। শেষ পর্যন্ত অবশেষে তাঁর খোঁজ মিলেছে। কানাডা থেকে ভারতে ফিরলেন তিনি। কানাডার সরকার অস্থায়ীভাবে তাঁর পাসপোর্টের ব্যবস্থা করে। এরপরই তিনি বাড়ি ফিরতে পারেন। 

এদিকে গত ১৮ জানুয়ারি করণবীরের পরিবার বিজেপি নেতা গুঞ্জন সুখিজার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই বিজেপি নেতা টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, করণবীরের পরিবার অত্যন্ত উদ্বেগের মধ্য়ে ছিলেন। তাঁরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। এরপর পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝতে পেরে আমি বাজপুর এলাকার কিছু বাসিন্দার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। তাদের কয়েকজন কানাডায় থাকেন। ইন্দর পুনিয়া নামে এক ব্যক্তি করণবীরের সন্ধান দিয়েছিলেন। এরপর তিনি মানসিকভাবে ক্রমেই ভেঙে পড়ছিলেন। এরপর তাঁকে কানাডার অন্টারিও স্টেটের লন্ডন সিটির একটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর মানসিক পরিস্থিতি একেবারেই ভালো ছিল না। যার জেরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। 

এরপর ওই বিজেপি নেতা ভারতের বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁরা বিষয়টি জানার পরেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে শুরু করেন। এরপরই কানাডার বিদেশমন্ত্রকের তরফে তাঁর অস্থায়ী পাসপোর্ট তৈরির ব্যবস্থা করা হয়। এমনকী যেদিন তাঁকে ভারতে ফেরানো হয় সেদিন কানাডার দুজন আধিকারিকও তাঁর সঙ্গে এসেছিলেন। এদিকে ওই যুবকের পরিবারও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছিলেন ঘরের ছেলের জন্য। তিনি ফিরে আসায় খুশির হাওয়া পরিবারে।