Mayor Firhad Hakim: বেহাত হতে বসেছিল খোদ মেয়রের বন্ধুর সম্পত্তি, নাগরিকদের সতর্ক করলেন ফিরহাদ

সম্পত্তির বেহাত হওয়ার অভিযোগ নতুন কিছু নয়। কলকাতা পুরসভায় সম্পত্তির বেহাত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে একাধিক। এই অবস্থায় সম্পত্তির উপর নজরদারি যে কতটা প্রয়োজন সে বিষয়ে নাগরিকদের সতর্ক করলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেবিষয়ে সতর্ক করতে গিয়েই মেয়র জানালেন তাঁরও এক বন্ধুর সম্পত্তি বেহাত হতে বসেছিল। শনিবার টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে এমন কথা জানিয়ে নাগরিকদের সম্পত্তির উপর যথাযথ নজরদারি করার সাবধানবাণী দিলেন মেয়র। এমন অবস্থায় খোদ একজন মন্ত্রী তথা মেয়রের ঘনিষ্ঠের সঙ্গে এমন ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: ‌‘‌আমি বললে আবার বিস্ফোরণ হবে’‌, সুদীপ–কুণাল–তাপস দ্বৈরথে নিরাপদ দূরত্ব ফিরহাদের

বিষয়টা কী?

মেয়র ফিরহাদ হাকিম এদিন সাংবাদিকদের জানান, তাঁর প্রয়াত এক বন্ধুর সম্পত্তি ছিল বারুইপুর এলাকায়। তিনি তাঁর থেকে বয়সে কিছুটা বড়। ওই বন্ধুর দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তাঁরা বাইরে থাকেন। সম্পত্তি দেখভালের জন্য কেয়ারটেকারকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর বন্ধু রাসবিহারীতে থাকতেন। তাঁর মৃত্যুর পর বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে শুরু করেন তাঁর স্ত্রী। প্রায় ২০ বছর পর যখন তাঁর মেয়ে জামাইরা ফিরে আসেন তখন দেখেন বারুইপুরের ওই সম্পত্তি বেহাত হয়ে গিয়েছে।

মেয়র জানান, ওই সম্পত্তির রেকর্ডসহ যাবতীয় নথি পরিবর্তন করা হয়। কেয়ারটেকার পুরো সম্পত্তি নিজের নামে করে নিয়েছিলেন। অথচ পঞ্চায়েত জানতই না ওই সম্পত্তির আসল মালিক অন্য কেউ। এরপর বিষয়টি জানতে পেরে খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম স্থানীয় পঞ্চায়েতের সঙ্গে কথা বলেন। তারপরেও অবশ্য পুরোপুরি সম্পত্তি পাননি বাড়ির আসল মালিক। সে ক্ষেত্রে কেয়ারটেকারকে সম্পত্তির কিছু অংশ দেওয়া হয়। বাকিটা আসল মালিককে হস্তান্তর করা হয়। তাই মেয়র সতর্ক করেন, সম্পত্তির উপর যথাযথভাবে নজরদারি চালাতে হবে তা না হলে তা বেহাত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। অন্যদিকে, এদিন টক টু মেয়রে ফিরহাদ আরও জানান, পে অ্যান্ড ইউজ শৌচালয়ের আশেপাশে কোনও বেআইনি নির্মাণ থাকলে সেটা ভেঙে দিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও, মেয়র জানান, নিকাশি বিভাগের ডিজিটাল ম্যাপ করা হয়েছে। এর সঙ্গে জলের লাইনেরও একটা মাপ করা হবে। পরবর্তীকালে যারা আসবে তাদের সুবিধা হবে। শুধু তাই নয়, ১০০ বছর পরও তারা কলকাতার ম্যাপ জানতে পারবে।