Mahua Moitra: আমাকে নিয়ে কিছু লিখবেন না, মহুয়া মৈত্রর আবেদন খারিজ করল হাইকোর্ট, ফের ধাক্কা!

বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এবং আইনজীবী জয় দেহাদ্রাই যাতে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ‘ভুয়ো ও মানহানিকর’ বিষয়বস্তু পোস্ট বা প্রচার না করেন সেটা থেকে বিরত রাখতে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র আবেদন করেছিলেন। দিল্লি হাইকোর্টে এই আবেদন করা হয়েছিল। তবে সেই আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট।

রায় ঘোষণার সময় বিচারপতি শচীন দত্তের বেঞ্চ জানিয়েছে, আমি নিষেধাজ্ঞার আবেদন খারিজ করে দিয়েছি।

ডিসেম্বরে মহুয়ার আবেদনের রায় দেওয়ার সময় আদালত দুবে ও দেহাদ্রাইয়ের আইনজীবীদের লোকসভার এথিক্স কমিটির রিপোর্টের প্রাসঙ্গিক অনুচ্ছেদগুলি নথিভুক্ত করতে বলেছিল।

তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র নিশিকান্ত দুবে ও দেহাদ্রাই সহ বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমকে তাঁর সুনাম ক্ষুন্ন করছে বলে অভিযুক্ত করেছিল। মানহানিকর, মিথ্যা ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য তৈরি, প্রকাশ ও প্রচার থেকে স্থায়ীভাবে বিরত রাখার জন্য মামলা করেছিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত ২০২৩ সালের ১৪ অক্টোবর নিশিকান্ত দুবেকে লেখা চিঠি প্রত্যাহারের জন্য দেহাদ্রাইকে নির্দেশ দেওয়ার আর্জিও জানিয়েছিলেন তিনি।

অন্তর্বর্তী আবেদনে নিশিকান্ত দুবে ও দেহাদ্রাইকে তাঁদের পক্ষ থেকে কোনও মিথ্যা মানহানিকর বিষয়বস্তু পোস্ট করা, আপলোড করা, বিতরণ করা থেকে বিরত রাখার আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে পোস্ট করা মানহানিকর বিষয়বস্তু মুছে ফেলার দাবিও জানিয়েছিলেন। ফটো, ভিডিও, চিঠি এবং প্রকাশনা সহ কোনও কিছুই যাতে তার বিরুদ্ধে না করে সেটা বলা হয়েছিল।

নিশিকান্ত দুবে আইনজীবী অভিমন্যু ভাণ্ডারীর মাধ্যমে হাজির হয়ে জানান, তিনি নিজেই হিরানন্দানিকে তার লগ ইন আইডি এবং পাসওয়ার্ড সংবাদমাধ্যমে শেয়ার করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

প্রবীণ আইনজীবী সঞ্জয় ঘোষের মাধ্যমে জয় বলেন, ১৪ অক্টোবরের চিঠিতে সত্যতার আভাস রয়েছে, কারণ লোকসভার এথিক্স কমিটিও তাদের রিপোর্টে বলেছে যে মহুয়ার হিরানন্দানির কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ স্পষ্টভাবে প্রতিষ্ঠিত এবং তা অনস্বীকার্য।

আইনজীবী সমুদ্র সারঙ্গির মাধ্যমে মহুয়া মৈত্র জানান, ১৪ অক্টোবর দুবেকে আইনজীবী দেহাদ্রাই যে চিঠি লিখেছিলেন, তা তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্যেই রাজনৈতিক লাভের জন্য সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রকাশ্যে আনা হয়েছিল।

আইনজীবী বলেন, ‘চিঠিতে (১৪ অক্টোবর) সরাসরি মানহানিকর বক্তব্য রয়েছে এবং বৃহত্তর রাজনৈতিক বিতর্ক রয়েছে।

গত ৮ ডিসেম্বর ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে বহিষ্কার করা হয় কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদকে।

তিনি হাউসের নৈতিকতা কমিটি দ্বারা যথেষ্ট অবৈধতা এবং স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করেছিলেন, যা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছিল।