Pakistan on Ship Seizure: ‘অযৌক্তিক আটক’! পরমাণু অস্ত্র যোগ সন্দেহে মুম্বই বন্দরে পাক-জাহাজকে রুখতেই সরব ইসলামাবাদ

চিন থেকে একটি পাকিস্তানগামী জাহাজকে সদ্য মুম্বইয়ের নভশেভা বন্দরে আটক করা হয়েছে। জাহাজ ঘিরে সন্দেহ রয়েছে পারমাণবিক অস্ত্র যোগের। জাহাজটিকে ঘিরে রহস্যের জটাজাল ছড়াতেই ভারতের তরফে তার সামগ্রী খতিয়ে দেখা হয়। এদিকে, মুম্বইতে জাহাজ আটক হতেই ক্ষোভে ফুঁসে উঠল পাকিস্তান। ইসলামাবাদের তরফে ঘটনা নিয়ে প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হচ্ছে, এই আটক ‘অযৌক্তিক’।

ইসলামাবাদের প্রধানমন্ত্রীর তখতে সবে রবিবারই বসেছেন শাহবাজ শরিফ। এদিকে, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক কড়া ভাষায় মুম্বইতে আটক পাক জাহাজের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে। পাকিস্তান বলছে, যে সামগ্রী ঘিরে সন্দেহ, তা সম্পূর্ণ সাধারণ একটি লেদ মেশিন, যা পাকিস্তানের বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা হওয়ার কথা ছিল। এই সামগ্রী পাকিস্তানের অটোমোবাইল সেক্টরের সঙ্গে যুক্ত বলেও দাবি করেছে পাকিস্তান। মুম্বইয়ের বন্দরে চিন থেকে পাকিস্তানগামী জাহাজ আটক হতেই পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের এক প্রেস কনফারেন্সে তাদের মুখপাত্রকে প্রশ্ন করা হয়। তখনই তিনি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বলেন, এই সংক্রান্ত রিপোর্টগুলিতে প্রকাশ পায় ভারতীয় মিডিয়া ‘তথ্যকে ভুলভাবে’ পেশ করছে। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক বলছে, ‘সামগ্রীর স্পেসিফিকেশনই বলছে, যে সেটি সম্পূর্ণভাবে বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য রয়েছে। এর লেনদেন স্বচ্ছ্ব ব্যাঙ্কিং চ্যানেল মারফৎ হয়েছে। তার নথিও রয়েছে।’

এরপরই ইসলামাবাদ বলে, ‘ বাণিজ্যিক সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করার ঘটনায় ভারতের অহংকারী গতিবিধির কড়া নিন্দা করে পাকিস্তান।’ পাকিস্তানের সাফ বার্তা, মুক্ত বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এই ধরনের বাধা আগামীর জন্য ভয়ঙ্কর। ইসলামাবাদের বার্তা, এই ধরনের ঘটনা আন্তর্জাতিক নীতি লঙ্ঘনের একটি দিক, এটি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের স্বেচ্ছাচারী ব্যবস্থা গ্রহণের শামিল। 

উল্লেখ্য, গত ২৩ জানুয়ারি গোয়েন্দা সূত্র মারফৎ কিছু তথ্য পেয়ে ভারতের মুম্বই বন্দরে আটক হয় পাকিস্তানের করাচিগামী একটি জাহাজ। সিএমএ সিজেএম আটিলা নামের ওই জাহাজ সেদিন যাচ্ছিল পাকিস্তানের করাচি বন্দরের দিকে। সেখানে যে চালান উদ্ধার হয়, তাতে উল্লেখ ছিল কম্পিউটার নিউমেরিকাল কন্ট্রোল মেশিনের তথ্য। এই মেশিন ঘিরে ছিল সন্দেহ। কারণ এই মেশিন নানান কাজে ব্যবহার হতে পারে। তা সামরিক কাজে যেমন ব্যবহার হতে পারে, তেমনই তা অসামরিক ক্ষেত্রেও হতে পারে। তবে ভারতের সন্দেহ ছিল সামগ্রীটি পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্র নির্মাণে ব্যবহার হতে পারে। এদিকে, মুম্বই বন্দরে আটক হওয়া জাহাজের সামগ্রী সদ্য খতিয়ে দেখেছেন ডিআরডিওর সদস্যরা।