‘সরকারি নার্সিং কোর্সে ভরতি করিয়ে দেব’, ১.৮ লাখ টাকা গায়েব কলেজ পড়ুয়ার থেকে

নার্সিং কোর্সে ভরতির পরীক্ষার গণ্ডি পার করতে পারেননি কলেজ ছাত্রী। সেই তরুণীকে সরকারি নার্সিং কোর্সে ভরতি করিয়ে দেওয়ার নাম করে সাইবার প্রতারণার অভিযোগ উঠল। সবমিলিয়ে ছাত্রীর কাছ থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মালদার মানিকচকে সাইবার প্রতারণার শিকার হয়েছেন ওই ছাত্রী। ঘটনায় মানিকচক থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছে ছাত্রীর পরিবার।  

আরও পড়ুনঃ সুব্রত বক্সির জামাই পরিচয় দিয়েই চাকরির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা, ধৃত ১

জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রী গত বছর জিএনএম ও এএনএম কোর্সে ভরতির জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তবে সেইসময় তিনি উত্তীর্ণ হতে পারেনি। পরে তাঁর এক বান্ধবী তাঁকে গোপাল ঘোষ নামে এক শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলে নার্সিং কোর্সে ভরতির সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছিলেন তাঁর সেই বান্ধবী। প্রথমে তাতে আগ্রহ দেখাননি ছাত্রী। 

তাঁর দাবি, গত ডিসেম্বরে একটি অজানা নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোনের অপারে থাকা ব্যক্তি নিজেকে গোপাল ঘোষ নামে পরিচয় দেন। ছাত্রীকে নার্সিং কোর্সে ভরতির প্রস্তাব দেন ওই ব্যক্তি। সেক্ষেত্রে তাঁকে প্রথমে ২,৫০০ টাকা অনলাইনে দিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে বলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু, প্রস্তাবে প্রথমে ছাত্রী রাজি না হলেও পরবর্তীতে সুযোগ পাওয়ার আশায় সেই টাকা দিয়ে দেন । তারপর থেকেই শুরু হয় সেই প্রতারণার চক্র।

তাঁর দাবি, পরবর্তীতে অনলাইন ক্লাস এবং নোটস নেওয়ার জন্য তাঁর কাছে আরও টাকা চাওয়া হয়। এভাবেই ছাত্রী তাঁর স্কলারশিপের ৩০ হাজার টাকা ও পরে বাবার দেওয়া দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে দেন। কিন্তু, পরিবারের কাউকে বিষয়টি জানাননি তিনি। এরপর ওই ব্যক্তির কাছে টাকা ফেরত চান। কিন্তু, তাঁকে বিভিন্নরকমভাবে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। 

বিষয়টি কিছুদিন আগে সামনে এসেছে পরিবারের কাছে। তারপর পরিবারের তরফে মালদা সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। পরিবারের অজান্তে টাকা দিয়ে দেওয়ার ফলে মানসিক অবসাদে ভুগছেন ওই কলেজ ছাত্রী। তাঁর মা জানান, তাঁরা এবিষয়ে কিছুই জানতেন না। জমির ফসল বিক্রি করা সমস্ত টাকা মেয়ের কাছেই থাকত। সেই টাকা প্রতারককে দিয়ে ফেলেছিলেন তাঁদের মেয়ে।