INS Jatayu: মলদ্বীপ-চিন সখ্যতা বাড়তেই লাক্ষাদ্বীপে ভারতের নয়া নৌঘাঁটির তোড়জোড়! মালের অদূরে ভারতের রণতরী ‘জটায়ু’

মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মইজ্জু সদ্য হুঁশিয়ারি দিয়ে সেদেশ থেকে ভারতীয় সেনাকে সরে যাওয়ার হুঙ্কার দিয়েছেন। চিনের সঙ্গে সামরিক সহায়তা বিষয়ক এর চুক্তিতে মলদ্বীপ আবদ্ধ হতেই, মহম্মদ মইজ্জু জানিয়েছেন ১০ মের পর সেদেশে ভারতের কোনও সেনা থাকবে না। মইজ্জুর এই মন্তব্যের পরের দিনই মলদ্বীপের জলসীমার অদূরে লাক্ষাদ্বীপের জলসীমায় ভারত নামিয়ে দিয়েছে রণতরী আইএনএস জটায়ুকে। বুধবারই কমিশনড হয়েছে আইএনএস জটায়ু।

লক্ষ্য মলদ্বীপের খুব কাছে ভারতের নৌসেনা ঘাঁটি গড়ার। সেদিক থেকে মলদ্বীপের কাছে লাক্ষাদ্বীপে ভারতের নৌসেনার রণতরী জটায়ুকে মিনিকয় দ্বীপের কাছে জলসীমায় রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, যেভাবে চিনের সঙ্গে মলদ্বীপের সখ্যতা ক্রমেই বাড়ছে, তাতে লাক্ষাদ্বীপ ভারতের সেনার জন্য স্ট্র্যাটেজিক দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে। বিশেষত, গত কয়েক মাস ধরে মলদ্বীপের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক অবস্থানে খানিকটা শীতলতা এসেছে। বিশেষত মোদীর লাক্ষাদ্বীপ সফরের পর মলদ্বীপের কয়েকজন মন্ত্রীর কটাক্ষ পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় আসতেই তোলপাড় শুরু হয়। এরপর দুই দেশের সম্পর্ক আর পুরনো খাতে বয়ে যায়নি। তারই মধ্যে চিনের সঙ্গে ক্রমেই সখ্যতা বাড়াতে দেখা যায় মহম্মদ মইজ্জুর শাসনে থাকা মলদ্বীপের। তিনি বারবার মলদ্বীপ ছেড়ে ভারতীয় সেনার সদস্যদের বেরিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিতে থাকেন। 

এদিকে আজ মিনিকয়তে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রণতরী জটায়ুকে কমিশনড করে ভারতীয় নৌসেনা। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় নৌসেনার প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরিকুমার। তিনি বলেন, এই রণতরীর নাম জটায়ু দেওয়া হয়েছে, ‘রামায়ণে’র কাহিনির পাখি জটায়ুর নাম থেকে। যে পাখি, সীতা অপহরণের সময় রাবণকে বাধা দিয়ে লড়েছিল। অ্যাডমিরাল হরিকুমার বলছেন, ‘ তাই জটায়ু হিসাবে এই ইউনিটের নামকরণ নিরাপত্তা নজরদারি এবং নিঃস্বার্থ পরিষেবা প্রদানে চেতনার একটি উপযুক্ত স্বীকৃতি।’ অ্যাডমিরাল হরিকুমার বলেছেন, ‘ একইভাবে, আমরা আশা করি যে এই ইউনিটটি সমগ্র অঞ্চলে জলসীমায় সচেতনতা বজায় রেখে ভারতীয় নৌবাহিনীকে পরিস্থিতিগত সচেতনতা প্রদান করবে।’

লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসক প্রফুল খোরা প্যাটেল এই অনুষ্ঠানের মুখ্য অতিথি ছিলেন। তিনি বলেন, লাক্ষাদ্বীপে একটি জমিও বাছাই করা হয়ে গিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটি তৈরির জন্য। এদিকে চিন ও মলদ্বীপের মধ্যে যে সদ্য বিনামূল্যে সামরিক সহায়তা নিয়ে চুক্তি হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, চিন, মলদ্বীপকে বিনামূল্যে সামরিক সহায়তা দেবে। যা নিয়ে খুব একটা নিশ্চিন্ত হতে পারছে না দিল্লি। সেই জায়গা থেকে এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে বড় ঘটনা।