Anganwadi centre: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শৌচালয়ে শিশুকে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখলেন শিক্ষিকা, বদলির দাবি

শাসনের নামে ছাত্রকে মারধরের অভিযোগে নতুন কিছু নয়। এবার এক ছাত্রকে দীর্ঘক্ষণ  শৌচালয়ে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগ উঠেছে নদিয়ার পায়রাডাঙার একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গিয়ে তুমুল বিক্ষোভ করেন অভিভাবকরা। তারা অবিলম্বে শিক্ষিকার বদলির দাবি জানিয়েছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।

আরও পড়ুন: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্না হচ্ছে পোকা ভরতি চাল-ডাল, তদন্তের নির্দেশ

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে রানাঘাট ১ নম্বর ব্লকের পায়রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের উকিলনাড়াতে। সেখানে ৩৬৫ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রয়েছে। ওই অঙ্গনওয়াড়িটি প্রফুল্লনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থিত। ৩০ জন সদস্য এবং ৫ প্রসূতিকে পরিষেবা দেওয়া হয়ে থাকে সেখানে। কিন্তু, অভিযোগ সেখানকার শিক্ষিকা অলকা সাহা শিশুদের মারধর করেন। তার বিরুদ্ধে গত সোমবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শৌচালয়ে ওই শিশুকে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে। পরে স্থানীয় একজন মহিলা এসে শিশুকে শৌচালয় থেকে উদ্ধার করেন।

শিশুর অভিভাবকের দাবি, শিশুটি এদিন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যেতে চায়নি। সেখানে যাওয়ার আগে কাঁদতে শুরু করে। এরপর অঙ্গনওয়াড়িটি কেন্দ্রে গিয়েও কাঁদতে শুরু করলে তাকে শাস্তি হিসেবে শৌচালয়ে আটকে রাখা হয়। মঙ্গলবার এই খবর চাউর হতেই সেখানে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। তাদের বক্তব্য, ওই শিক্ষিকা অন্যান্য শিশুদেরও মারধর করেন। তা ছাড়া ওই কেন্দ্রে নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয়। স্থানীয়রা অবিলম্বে ওই শিক্ষিকার বদলির দাবি করেন। একইসঙ্গে এদিন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বয়কট করেন অভিভাবকরা।

এদিকে, শিশুকে শৌচালয়ে আটকে রাখার যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিক্ষিকা। তার বক্তব্য, তিনি ছাত্রকে ভয় দেখিয়ে বলেছিলেন যে শৌচালয়ে আটকে রাখবেন। কিন্তু, তিনি তাকে শৌচালয়ে আটকে রাখেননি। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, এই ঘটনার পরে শিক্ষিকাকে তলব করেছেন শিশু বিকাশ প্রকল্পের আধিকারিক মেঘনাথ মিস্ত্রি। তিনি জানান, বিষয়টি নজরে আসার পর শিক্ষিকাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।