Kirti Azad in Durgapur: ‘জনগর্জন’-এর প্রচারে দুর্গাপুরে কীর্তি আজাদ, লোকসভায় প্রার্থী হওয়ার ওয়ার্মআপ?

তৃণমূলের জনগর্জন সভার প্রচারে পশ্চিম বর্ধমানে এলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ। প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ জানিয়েছেন, শত্রঘ্ন সিনহার আহ্বানে তিনি প্রচারে এসেছেন। তবে লোকসভা ভোটে আগে তাঁর এই দুর্গাপুর আসায়, অনেকেই মনে করছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ভোটে প্রার্থী করতে পারে তৃণমূল।

কীর্তি নিজেও এনিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। তিনি বলেন, ‘শত্রুঘ্ন সিনহা আহ্বান জানিয়েছেন। জনগর্জন সভার সমর্থনে প্রচার করতে এসেছি। আগামী ১০ তারিখ সভা আছে। প্রার্থী হব কিনা সেটা দল ও স্থানীয় জনতা ঠিক করবেন। বাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন নির্দেশ দেবেন সেই মতো কাজ করব।’ 

কীর্তি এ দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রী মোদী সরকারের সালোচনা করে বলেন, ‘অটলজির সময়ের বিজেপির সঙ্গে বর্তমান বিজেপির অনেক পার্থক্য রয়েছে।   অটলজি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতেন।  তিনি কাজ করতেন। কিন্তু এখন নরেন্দ্র মোদী কাজের বদলে শুধু মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। দেশে কোনও বাসিন্দার অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা জমা পড়েনি। বছরে ২ কোটি বেকারের চাকরি হয়নি।’ 

আরও পড়ুন। গঙ্গার নীচে তৈরি হল ইতিহাস, পড়ুয়াদের নিয়ে মেট্রোয় চাপলেন মোদী, দেখুন ভিডিয়ো

তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিরও সামলোচনা করে বলেন, ‘গ্যাসের দাম যখন ৪০০ টাকা ছিল সেই সময়ে স্মৃতি ইরানি গ্যাসের দাম বেড়েছে বলে চিৎকার করেছিলেন। আজ তিনি কোথায়? কেন আন্দোলন করছেন না।’

সোমবার সন্ধ্যায় কীর্তি জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সঙ্গে আসানসোলের ঘাঘড়বুড়ি মন্দিরে পুজো দিতে যান। তার আগে সকালে যান দুর্গাপুর ক্রিকেট ক্লাবের মাঠে। সেখানে ক্লাবের বাচ্চাদের সঙ্গে ক্রিকেটও খেলেন কীর্তি। 

এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভুয়শী প্রশংসা করেন র্কীতি আজাদ। তিনি বলেন, ‘১৯৮৪ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন সাংসদ হয়ে এসেছিলেন সেই সময় তাঁকে দেখে আমার বাবা ভগবত আজাদ বলেছিলেন, এই মেয়েটির মধ্যে আগুন আছে। বহু দূর যাবে। সেই সময় দিদিকে যেমন দেখেছি এখনও তিনি তেমনই আছেন। একদম সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করেন। ’

প্রসঙ্গত, বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রটি বর্তমানে বিজেপির হাতে। তৃণমূল কর্মীদের অনেকেই মনে করছেন, বিজেপির হাত থেকে আসনটি উদ্ধার করতে এখানে তাঁকে দাঁড় করাতে পারে দল। তবে সে সম্পর্কে কিছু বলতে চাননি জেলা সভাপতি। নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘উনি এসেছেন জনগর্জন সভার প্রচারে। এর বেশি কিছু বলার নেই।’