Tripura News: ত্রিপুরায় BJP সরকারে যোগ দিতে পারে তিপ্রা মোথা, মন্ত্রীর পদও জুটছে, অনশনে বড় লাভ!

লোকসভা ভোটের আগে ত্রিপুরার রাজনৈতিক সমীকরণে এবার বড় বদল আসতে পারে। তিপ্রা মোথা, ত্রিপুরার প্রধান বিরোধী দল লোকসভা ভোটের আগেই বিজেপি পরিচালিত সরকারে যোগ দিতে পারে। ৬০ সদস্য়ের বিধানসভা।আর সেই বিধানসভায় তিপ্রা মোথারই রয়েছে ১৩জন সদস্য। সংবাদমাধ্য়ম সূত্রে খবর, রাজ্য বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকারে তিপ্রা মোথা যোগ দিতে পারে। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি সরকারের সঙ্গে যোগ দিতে পারে।

সেই সঙ্গে তিপ্রা মোথার তরফে দুজন মন্ত্রীর চেয়ার পেতে পারেন বলেও খবর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তবে মন্ত্রী হিসাবে তাঁরা কবে শপথ নেবেন সেটা এখনও ঠিক হয়নি।

এদিকে সম্প্রতি তিপ্রা মোথার প্রতিষ্ঠাতা প্রদ্যোৎ দেব বর্মন কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি করেছিলেন। তার আগে তিনি অনশনে বসেছিলেন। একেবারে আমরণ অনশন। আদিবাসী মানুষদের স্বার্থ রক্ষার জন্য তিনি এই আন্দোলনে নেমেছিলেন বলে খবর। তবে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার সাড়া দেয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হস্তক্ষেপের ফলে অনেকটাই স্বস্তি পান তিপ্রা মোথা নেতৃত্ব।

এদিকে গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের দাবিতে ত্রিপুরা রাজবংশের সন্তান তথা মোথা পার্টির প্রধান প্রদ্যোৎ দেববর্মা বহুদিন ধরে সরব। শেষ পর্যন্ত তিনি জানিয়েছিলেন, ত্রিপুরার উপজাতির সাংবিধানিক সমাধানের দাবিতে তিনি ত্রিপুরার খোয়াই জেলার হাতাই কোটরে আমরণ অনশনে বসছেন। সেই মতো তিনি অনশনে বসেন।

অনশনে বসার আগে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি ভারত সরকারকে বলেছি যে আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে কোনও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া না আসলে আমি হাতাই কোটরে আমরণ অনশন শুরু করব। আমার স্বাস্থ্য ভালো নেই। আমার মৃত্যু হলে কেন্দ্র ও রাজ্য দায়ী থাকবে। আমি আমার ব্যক্তিগত জীবন হারিয়েছি। আমার কোন পরিবার নেই.. আমাকে মৌখিকভাবে গালি দেওয়া হয়েছিল, আমাকে অপমান করা হয়েছিল। তার পরেও যদি কেউ প্রতারিত হয়, তবে আমার প্রাসাদ ছেড়ে মাটিতে বসে আমার লোকদের নিয়ে অনশন শুরু করাই ভালো। আমি মরে যাব, কিন্তু আমার লোকদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করব না।’

গত ২৮ শে ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি এই আমরণ অনশন শুরু করেছিলেন। তবে অবশেষে মার্চের প্রথমেই তিনি তাঁর অনশন ভঙ্গ করেন। তিনি জানিয়েছেন, দিল্লিতে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্য়মে ৬০ শতাংশ যুদ্ধে জয়ী হওয়া সম্ভব হয়েছে। আর বাকি ৪০ শতাংশ যুদ্ধ একসঙ্গে থেকে ও এক সঙ্গে লড়াই করার মাধ্যমে হবে।