‘পবন সিং মতো নয়, ভূমিপুত্র প্রবীণকর্মীকে প্রার্থী চাই’, বলছে আসানসোল বিজেপি

আসানসোলের ভূমিপুত্র এবং প্রবীণ বিজেপি কর্মীদের কাউকে প্রার্থী করা হোক। তাতেই দল ভাল ফল করবে। এমনটাই চাইছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ। শুক্রবার আসানসোল বাজারে বিজেপি কার্যলয়ে সংবাদিকদের একথা জানান বিজেপির প্রবীণ কর্মী তথা প্রদেশ কমিটির সদস্য বিবেকান্দ ভট্টাচার্য।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ আসানসোলে বিজেপির বহু পুরনো কর্মী রয়েছেন। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি তাঁদের মধ্যে কাউকে প্রার্থী করলে দল ভাল ফল করবে।’ তিনি বিধানসভা নির্বাচনের অভিজ্ঞতা তুলে বলেন, ‘বিধানসভা ভোটের সময় দেখা গেছে অন্যান্য দল থেকে বিজেপিতে এসেছেন বহু কর্মী। সুখের পায়রা হিসাবে এসে ভোট মিটলেই তারা পালিয়ে গেছেন। টিকিট দেয়ার ক্ষেত্রে এই বিষয়টিও মাথায় রাখা দরকার।’ সংবাদমাধ্যমে এই বার্তা উচ্চ নেতৃত্বের কাছে পৌছে দেওয়ার আবেদন জানান তিনি।

আরও পড়ুন। শিলিগুড়িতে মোদীর সভার সময়সূচিতে বদল, কারণটা কী?

অন্যদিকে বিজেপির এই দাবিকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘ওদের প্রার্থী পালিয়ে গিয়েছে, বিজেপি কোনও প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছেন না। তাই এই সব বলছেন।’ তিনি দাবি করেন, আসানসোলের মানুষ শত্রুঘ্ন সিনহাকে প্রার্থী হিসেবে চাইছেন।

প্রসঙ্গত, আসানসোলে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে পবন সিং এর নাম ঘোষণা করেছিল বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পবন সিং আসানসোল থেকে প্রার্থী হতে চাইছেন না জানিয়ে দেন। তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারেনি গেরুয়া শিবির। তবে মনে করা হচ্ছে, শত্রুঘ্ন সিনহার বিপরীতে বিনোদন জগতের কাউকে দাঁড় করাতে চাইছে তাঁরা। যদিও সেই নাম এখন স্পষ্ট। তবে যে ভাবে পবন সিং নাম ঘোষণার পর সরে এসেছেন। তাতে একটু বুঝেশুনেই প্রার্থী দিতে চাইছে বিজেপি।

আরও পড়ুন।  ৩৯ লোকসভা আসনে প্রার্থী ঘোষণা কংগ্রেসের! নাম নেই অধীরের, বাংলা নিয়ে দোলাচলে?

এদিকে বৃহস্পতিবার তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা গত দুবছরে তাঁর খরচের খতিয়ান পেশ করেন। তিনি জানান, সাংসদ তহবিল থেকে তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের জন্য তিনি ১৩ কোটি ৮৪ হাজার টাকার কাজ করেছেন। এর মধ্যে শুধু আসানসোল উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে খরচের পরিমাণ ৫ কোটি ৪ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা। সেখানে মাত্র মাত্র ৯১ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে রানিগঞ্জে। সাংসদের এই তহবিল বরাদ্দকে বৈষম্যমূলক বলে মন্তব্য করেছেন আসানসোলের বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের কথায়, যেখানে আসানসোলে খরচ করা হয়েছে ৫ কোটিরও বেশি টাকা সেখানে মাত্র ৯১ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে রানিগঞ্জে।