মমতার মঞ্চে হাজির মহিলার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ সন্দেশখালির স্থানীয় মহিলাদের

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঞ্চে ‘সন্দেশখালি ভালো আছে’ বলায় এক মহিলার বাড়ি ঘেরাও করলেন স্থানীয় মহিলারা। বৃহস্পতিবার ধর্মতলায় তৃণমূলনেত্রীর সভামঞ্চে দেখা গিয়েছিল সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা নীলিমা জানা। শুক্রবার বিকেলে তাঁর বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় মহিলারা। দাবি করেন, ঘটনাস্থল থেকে বহু দূরে থেকে এই মন্তব্য করার অধিকার নেই নীলিমাদেবীর। তাঁকে মন্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও ভোটের জন্য মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী।

বৃহস্পতিবার নারী দিবসের প্রাক্কালে কলকাতার কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করে তৃণমূল। মিছিলে হাঁটেন মমতা ও অভিষেক। তবে একসঙ্গে দেখা যায়নি তাঁদের। এমনকী মিছিল শেষে সভায় মঞ্চে ওঠেননি অভিষেক। সেই মিছিলেই সন্দেশখালির ৫০ জন মহিলা অংশগ্রহণ করেছেন বলে দাবি করে তৃণমূল। এমনকী তাদের ৫ জনকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মঞ্চে দেখা যায়।

সেই মহিলারা বলেন, ‘সন্দেশখালিতে মূলত জমি দখল করে মাছের ভেড়ি তৈরির অভিযোগ ছিল। সেই সমস্যা মুখ্যমন্ত্রীর তৎপরতায় প্রায় মিটে গিয়েছে। অনেকেই বেদখল হয়ে যাওয়া জমি ফেরত পেয়েছে। সন্দেশখালি এখন ভালো আছে।’

আরও পড়ুন: ঠাকুরনগরে ভাইয়ে ভাইয়ে ঠাঁই-ঠাঁই? TMCতে যোগদানের জল্পনার মধ্যেই মুখ খুললেন সুব্রত

ওই মঞ্চে মমতার পাশে দেখা গিয়েছিল সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের রাজবাড়ি এলাকার বাসিন্দা নীলিমা জানাকে। শুক্রবার বিকেলে তাঁর বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় মহিলারা। তাঁদের দাবি, গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকে। যা রাজবাড়ি এলাকা থেকে বহু দূরে। সেখানে কী হয়েছে না হয়েছে তা কতটা জানেন নীলিমাদেবী? আর না জেনে মমতার মঞ্চে উঠে কেন এসব মন্তব্য করে এসেছেন তিনি? অবিলম্বে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে তাঁকে মন্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে বলে দাবি জানাতে থাকেন মহিলারা।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। রুট মার্চ শুরু করে ভোটের দায়িত্বে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী। বেশ কিছুক্ষণ পর বিক্ষোভ থামে।

এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘এই মহিলা সন্দেশখালির বাসিন্দাই নন। তিনি সন্দেশখালি ভালো আছেন বলে গালভরা মন্তব্য করে এসেছেন। ওদিকে সন্দেশখালির মহিলারা যে কী ভাবে দিন কাটিয়েছেন তা এর জানা নেই। শুধুমাত্র তৃণমূলের চাপে উনি এই কাজ করেছেন। আমরা এই মন্তব্য মানি না। ওনাকে ক্ষমা চাইতে হবে।’ ওদিকে তৃণমূলের দাবি, ‘বিক্ষোভকারীর বিজেপি সমর্থক।’