Subrata Thakur: সুব্রত ঠাকুরের TMCতে যোগদান নিয়ে জল্পনা, নানা মুনির নানা মত

শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলে যোগদানের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর। কিন্তু তিনি যা বলেছেন তাতে জল্পনা কমার বদলে বেড়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। লোকসভা ভোটের আগে ঠাকুরবাড়ির ২ ভাইয়ের বিবাদ কি বদলে দিতে পারে রাজনৈতিক সমীকরণ। জল্পনা চলছে তা নিয়েও। এ নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে উঠে এসেছে বিভিন্ন মত।

আরও পড়ুন: ‘সব মিথ্যে, আল্লাহ আছেন, বিচার হবেই’, প্রথমবার মুখ খুললেন ‘নেংটি ইঁদুর’ শাহজাহান

সুব্রত ঠাকুরের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে দাবি, ভাই শান্তনুর আগে থেকে বিজেপি করছেন তিনি। কিন্তু বিধায়ক হয়েই সন্তুষ্ট হতে হয়েছে তাঁকে। ওদিকে ভাই শান্তনু সাংসদ হওয়ার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন। ওদিকে বিজেপি শংকর ঘোষের মতো একাধিক তরুণ বিধায়ককে সামনের সারিতে নিয়ে এলেও সেখানে ঠাঁই হয়নি সুব্রতর। এর ফলে ক্ষোভ জমেছে তার মনে। ভাইয়ের মতো লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিট চান তিনিও।

বিজেপির দাবি, ‘ঘর ভাঙানোর রাজনীতিতে ওস্তাদ তৃণমূল। সৌমিত্র খাঁর ঘর ভেঙেছে তারা। এবার ঠাকুরনগরে ২ ভাইয়ের মধ্যে বিবাদ বাঁধিয়ে রাজনৈতিক ফয়দা তোলার চেষ্টা করছে। কিন্তু তাতে লাভ হবে না।’

ওদিকে তৃণমূলের দাবি, ‘এটা পুরোটাই ঘরোয়া ব্যাপার। এর মধ্যে তৃণমূল কোথাও নেই। অহেতুক তাদের দোষারোপ করা হচ্ছে।’

আরও পড়ুন: সম্পর্কের গভীরতা কতটা? পার্থ-অর্পিতাকে নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠল আদালতে

তবে ঠাকুরবাড়ির রাজনীতি যারা বোঝেন তাঁরা বলছেন, আসলে ২ ভাইয়ে কোনও দূরত্ব নেই। দুজনে পরিকল্পনা করেই এই গুজব ছড়িয়েছেন। কারণ, একের জায়গায় ২টো টিকিট পেলে সোনায় সোহাগা। তাছাড়া লোকসভা ভোট ঘোষণা কয়েক দিনের অপেক্ষা হলেও দেশে এখনও CAA লাগু হয়নি। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু গত ৫ বছর ধরে বিষয়টি যে ভাবে ঝুলে রয়েছে তাতে শেষ মুহূর্তে CAA লাগু না হলে এসকেপ রুট তৈরি রাখতে চাইছেন ঠাকুরবাড়ির ভাইয়েরা। সেক্ষেত্রে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসাবে ইতিমধ্যে শান্তনুর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে বিজেপি। ফলে তাঁর পক্ষে দলবদল করা মুশকিল। কিন্তু সুব্রত তৃণমূলে যোগদান করে ভাইয়ের জন্য পথ তৈরি করতেই পারেন।

এদিন সুব্রত বলেন, তিনি কলকাতায় গিয়েছিলেন। এর পর ‘কোনও কারণে’ তাঁর ফোন সুইচড অফ ছিল। কী কারণে ফোন বন্ধ ছিল তা জানানো উচিত বলে দাবি করেছেন বিজেপি কর্মীদের একাংশই।