চিত্র সাংবাদিককে বাধা মামলায় স্বস্তি পেলেন বিদ্যুৎ, FIR খারিজ করে দিল হাইকোর্ট

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকার সময় বহু বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিভিন্ন ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে থানায় এফআইআরও দায়ের হয়েছিল। তার মধ্যে একটি মামলায় স্বস্তি পেলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এক চিত্র সাংবাদিককে ছবি তুলতে বাধা দেওয়ার মামলায় এফআইআর খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা দত্ত পালের একক বেঞ্চ এফআইআর খারিজ করে দেয়।

আরও পড়ুন: ‘আপনারা রবীন্দ্রনাথকেও অভিযুক্ত করে দিতেন!’ বিদ্যুৎ মামলায় পুলিশকে ভর্ৎসনা HC-র

বিচারপতি জানান, বর্তমানে এই এফআইআরে আরও কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। এই পর্যবেক্ষণ করে এফআইআর খারিজ করে দেন বিচারপতি। আদালতের এই রায়ে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী কিছুটা হলেও যে স্বস্তি পেলেন সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। মামলার বয়ান অনুযায়ী , ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল কোভিডের সময়। করোনার জেরে সেই সময় বিশ্বভারতীর কয়েকটি সভাঘর বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন উপাচার্য। সেই মতো নোটিশও পড়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, সভাঘরে প্রবেশ করা যাবে না। ঠিক সেই সময় ছবি তুলতে গিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বাধার মুখে পড়েছিলেন এক চিত্র সাংবাদিক। 

এনিয়ে তাদের সঙ্গে চিত্র সাংবাদিকের বচসা হয়েছিল। পরে এ বিষয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন বিশ্বভারতীর তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেই মন্তব্যের পরে স্থানীয় থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান চিত্র সাংবাদিক। তার ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করেছিল পুলিশ। সেই এফআইআরই খারিজ হয়ে গেল।

প্রসঙ্গত, উপাচার্য পদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেই বিদ্যুতের বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে যেমন বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ রয়েছে তেমনি টোটো চালককে বাধা দেওয়ার মতো অভিযোগও রয়েছে। গত আগে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর উপাচার্যের পদ থেকে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে তাকে একাধিক মামলায় ডেকে পাঠিয়েছিল পুলিশ। 

এর পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল প্রাক্তন উপাচার্যের বিরুদ্ধে। তাছাড়া অমর্ত্য সেনের বাড়ি নিয়েও বিতর্কে জড়িয়েছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। শুধু তাই নয়, উপাচার্য হিসেবে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও ফলক বিতর্কে নাম জড়িয়েছিল বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। প্রসঙ্গত, পড়ুয়া থেকে শুরু করে শিক্ষকদের চক্ষুশূল ছিলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বারবার তাঁর পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করেছেন ছাত্র শিক্ষকরা। অবশেষে গত বছর তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন অনেকেই।